ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

বাপ্পির প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা জাহারা মিতু

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২২:৪৬, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। তার বিপরীতে দুটো সিনেমায় অভিনয় করেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ বিজয়ী জাহারা মিতু। অভিনয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। একসময় এ জুটির প্রেমের গুঞ্জনও চাউর হয়। এদিকে জাহারা মিতুর কারণে অন্য নায়িকার সঙ্গে বাপ্পির প্রেম ভেঙে যাওয়ার খবর রটে। যদিও বিষয়টির সত্যতা প্রমাণিত হয় নি।

গত বছর বাপ্পি গণমাধ্যমে জানান, এক প্রবাসী মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। ঠিক ওই সময়ে জাহারা মিতুর সঙ্গে বাপ্পির প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। এমনকি, এক নায়িকার সঙ্গেও তার সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। রাহাত সাইফুল সঞ্চালিত ‘রাইজিংবিডি স্পেশাল’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এই ত্রিভুজ প্রেমের গল্প বলেন মিতু। 

এ আলাপচারিতার শুরুতে মিতুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নায়ক বাপ্পির সঙ্গে আপনার ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেটা ভেঙে গেল কেন? এ প্রশ্নের জবাবে মিতু বলেন, ‘বাপ্পি অনেক বোকা! বাপ্পি কোনো কিছুই জাজ না করে অন্য মানুষের কথা শুনে বিশ্বাস করে বসে। আমার কথা হলো তুই তো আমার জামাই না, তুই তো আমার প্রেমিকও না, তুই আমার ফ্রেন্ড। তোর জন্য আমার দরজা খোলা। যখন তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারিস।’

আপনি বন্ধু হিসেবে দেখেন। কিন্তু বাপ্পি চৌধুরী কি আপনাকে বন্ধু হিসেবে দেখতেন? উত্তরে মিতু বলেন, ‘‘এটা একটা প্রশ্ন! বাপ্পি এখন অনেক কিছু অস্বীকার করবে, হয় তো স্বীকার করবে কিন্তু আমার কাছে সবসময় বন্ধু ছিল। সে সময় সংবাদমাধ্যমে নিজের মুখে বাপ্পি বলেছিল, ‘আমেরিকা প্রবাসী এক মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে।’ সে সময় ওই (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) হিরোইনটা আমাকে প্রচণ্ড ডিস্টার্ব করছিল। বাপ্পি তখন আমাকে ওই আমেরিকায় বসবাসরত মেয়েটার ছবি এনে দেখিয়ে বলেছিল, দোস্ত মেয়েটা দেখতে কেমন? মেয়েটার ছবি দেখে আমি প্রথমেই বলেছিলাম, তোর যে কোয়ালিটি তোর থেকে ভালো। দুষ্টমি করে কথাটা বলেছিলাম। ওর সঙ্গে আমার দুষ্ট-মিষ্ট একটা সম্পর্ক ছিল।’’

মেয়েটি (নায়িকা) মিতুকে ফোন করেছিলেন। তা জানিয়ে মিতু বলেন, ‘বাপ্পি সেই প্রবাসী মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। বার্থডে কেক পর্যন্ত সেই মেয়ের সঙ্গে কেটেছে। তারপরও ওই ভদ্রমহিলা (নায়িকা) কেনো বারবার আমাকে টার্গেট করে…। আমাকে একদিন তিন-চারবার ফোন দিয়েছিল। আমি তখন পুরোপুরি অস্বীকার করেছি। আমি তাকে বলেছিলাম, দেখেন আপু আপনারা হাজবেন্ড-ওয়াইফ হতেই পারেন। নায়ক-নায়িকারাও হাজবেন্ড-ওয়াইফ হতেই পারেন। এটা খুবই নরমাল। আমি তাকে বলেছি, আচ্ছা একটা কাজ করেন। আমি এই সিনেমা থেকে সরে যাই তাহলেই সন্দেহটা একটু কমবে। সেময় আমি ও বাপ্পি একটা সিনেমায় সাইন করেছি। এসব বলার পরও উনি বলেন, সন্দেহের কিছু নেই, বাপ্পি আমার সঙ্গে কথা বলে না। সে আপনাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আমি শুনেছি, সে তার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আপনার অনেক প্রশংসা করেন। পরে আমি বলি, দেখুন এটা তো আমার দেখার বিষয় না।’

‘আমি বাপ্পি চৌধুরীকে অনেকবার বলেছি, এই মেয়েটি (নায়িকা) তোকে অনেক ভালোবাসে, এই মেয়েকে তোর বিয়ে করা উচিত। আমি অনেকবার বলেছি, ভালো না বাসলে একটা মানুষ এতটা ছ্যাচড়া হতে পারে না। মেয়েটা তোকে অনেক ভালোবাসে।’ বলেন মিতু।

বাপ্পি চৌধুরী জানতে পেরেছিল মেয়েটি (নায়িকা) বিবাহিত। এ তথ্য উল্লেখ করে মিতু বলেন, ‘সেই মেয়েটা আগে থেকেই বিবাহিত। এটা জানার পরই বাপ্পি সেখান থেকে ফিরে আসে। আমার যতদূর মনে হয়েছিল, বাপ্পি সিরিয়াস ছিল। বাপ্পি মেয়েটির পাসপোর্ট থেকে জানতে পারে সে বিবাহিত ছিল। বাপ্পি তাকে ছেড়ে দিয়ে খুব ভালো ছিল তা কিন্তু নয়; মেয়েটিও অনেক কষ্ট পেয়েছিল।’

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়