রুদ্রনীল বললেন, চাল-চাকরির মতো ভোটও চুরি হয়েছে
গতকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩ আসনের সবগুলোর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ২৪০ আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এবারো বিজেপি শক্ত অবস্থান গড়তে পারেনি। এ রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১২টি, তৃণমূল ২৯টি, কংগ্রেস ১টি। ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় বিজেপি এবার আরো পিছিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিজেপি ভিন্ন স্বপ্ন দেখলেও তা ভেঙে গেছে। কিন্তু এমনটা কেন হলো? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিজেপির নেতা ও ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘হাজার টাকা ভাতা দিয়ে রাজ্যবাসীকে কিনে ফেলা যায়, সেটা প্রমাণিত। রাজ্যে ক্রমশ বেকারত্ব বাড়ছে। অথচ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ছড়াছাড়। কুমিরছানার মতো সেসব দেখিয়ে ভাতার ৯৯ হাজার টাকা নিজের পকেটে ভরছে শাসক।’
ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কারণে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। কিন্তু এ তত্ত্বে বিশ্বাসী নন রুদ্রনীল। তার দাবি— ‘রাজ্যের সবকিছু চুরি করতে করতে শেষে ভোটও চুরি করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। চাল, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্য পরিষেবা হয়ে এখন ভোটচুরিতেও সিদ্ধহস্ত। এটা সবাই জানে, আগে একজন চোরের জন্ম হয়। তারপর তাকে ধরতে পুলিশের চাকরি হয়।’
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, উত্তরপ্রদেশেও বিজেপি ব্যর্থ হয়েছে। এ তথ্য জানাতেই নড়েচড়ে বসেন রুদ্রনীল। কিছুটা সময় নিয়ে তিনি বলেন, ‘হারজিত সব সময়ই রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে অপ্রত্যাশিত ফল, এটা ঠিক। কিন্তু তারই পাশাপাশি, দক্ষিণ ভারতে বিজেপি ভালো ফল করেছে। ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশেও তাই।’
উল্লেখ্য, একসময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্নেহধন্য ছিলেন রুদ্রনীল। তৃণমূলের সক্রিয় রাজনীতি করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে বিজেপি প্রার্থী হয়েও হেরে যান রুদ্রনীল ঘোষ।
ঢাকা/শান্ত