১৭ বছর টেলিভিশন, রেডিওতে কাজের সুযোগ হয়নি: মনির খান
জ্যেষ্ঠ বিনোদন প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
সংগীতশিল্পী মনির খান অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। চল্লিশের অধিক একক অ্যালবাম করেছেন। প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই কণ্ঠশিল্পী বরাবরই রাজনীতি সচেতন। সম্প্রতি দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়েও তিনি সোচ্চার ছিলেন। সেই আন্দোলন সফল হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের কাছে তার প্রত্যাশা, রাজনীতি এবং সংগীত-ভাবনার কথা তিনি জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাহাত সাইফুল
রাইজিংবিডি : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
মনির খান : নাগরিক হিসেবে, সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সুস্থ সুন্দর দেশ গড়াই আমাদের প্রধান প্রত্যাশা। সার্বিকভাবে সবাই যেন ভালো থাকি। সব সেক্টরে যেন সুন্দরভাবে চলে। যা ঘটেছে তার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ দেশের মানুষ ভোট দিয়ে অনেককেই ক্ষমতায় বসিয়েছেন। কিন্তু মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেনি। কোনো না কোনোভাবে মানুষ সাফার করেছেন।
আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি আছে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম পুরস্কার তিনি তার যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করেছেন। তার প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক। যেসব জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা উপদেষ্টামণ্ডলীতে যুক্ত হয়েছেন তাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা। আশাকরি তারা প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। তাদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। যে যেখান থেকে পারি তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
রাইজিংবিডি : গত ১৭ বছরে আপনার কাজের জায়গা কেমন ছিলো বলে মনে করেন?
মনির খান : ১৭ বছরে কোনো টেলিভিশন, রেডিও এবং সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ আমার হয়নি। বর্তমান সকারের কাছে প্রত্যাশা এখন স্বাধীনভাবে সর্বস্তরে কাজ করতে পারবো।
রাইজিংবিডি : রাজনীতির মাঠে আবার সক্রিয় হবেন?
মনির খান : আমি অভিমান করে দূরে গেলেও আমি কোথাও যুক্ত হইনি। অনেকভাবে অনেক অফার এসেছে, কিন্তু আমি কোনো অফার লুফে নেইনি। কারণ একটা মানুষের নীতি-নৈতিকতা-বিশ্বাস-ভালোবাসা সব একই জায়গা ঘিরে, তার বাইরে যাওয়ার চিন্তা কখনও আমার ছিল না, এখনও নেই।
রাইজিংবিডি : বর্তমান কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
মনির খান : আমার দুটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেখানে রেগুলার গান প্রকাশ হচ্ছে। এখন যেহেতু অডিওর যুগ নেই, তাই ইউটিউব চ্যানেলেই গান প্রকাশ করি। প্রতিমাসে চারটা করে গান যায় এই চ্যানেলে।
তারা//