মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডাবাহিনীর উপরে ভরসা করছেন, মমতাকে কৌশিক
কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর উত্তাল কলকাতা। গতকাল ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচি দেয় নারীরা। অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে স্তব্ধ অভিনেতা দম্পতি কৌশিক সেন ও রেশমি সেন।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কৌশিক সেন বলেন— ‘মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডাবাহিনীর উপরে ভরসা করছেন, এর ফলে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।’ কৌশিকের স্ত্রী অভিনেত্রী রেশমি বলেন, ‘২০২৬ সালে নির্বাচন। তার আগে প্রশাসনের এই ভূমিকা বলছে, বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে রাজ্য সরকারের।’
সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তবর্তী সরকার গঠনের সাক্ষী ভারত। আরজি কর-কাণ্ড কি দেশে তেমনই কোনো বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে? এ প্রশ্নের জবাবে কৌশিক সেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি ভারতে হবে না। কারণ দুই দেশের ইতিহাস আলাদা। তবে ক্ষমতা কায়েম রাখতে গেলে মমতা ব্যানার্জিকে শুভবুদ্ধির সাহায্য নিতে হবে। না হলে, গণতন্ত্রের সাহায্য নিয়ে জনগণ ইভিএম-এ তার জবাব দেবে।’
যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু চাপা পড়ে গেলেও আরজি কর-কাণ্ড মনে রাখবে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ। রাজ্য সরকারের এই ভুল পদক্ষেপের কারণে এটা ঘটবে বলে মনে করেন কৌশিক।
গত ৮ আগস্ট ভোরে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে তরুণী চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই সেই ঘরসহ অন্যান্য ঘরে মেরামতের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। আর গতকাল রাতে বহিরাগতদের হামলা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে তারকা দম্পতির প্রশ্ন— ‘এমন কী ঘটনা চাপা দিতে মরিয়া রাজ্য সরকার? যার জন্য বহিরাগতদের এই হামলা?’
ঢাকা/শান্ত