‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এদের হাসি পেয়েছে’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। হঠাৎ ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের আট জেলা আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতিও দৃষ্টিগোচর হয়েছে শ্রীলেখার। এ নিয়ে আলাদা করে কোনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে দেখা যায়নি তাকে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। এটি ‘অনির্বাণ স্পিকস’ নামে একটি আইডি থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশকে বার্তা দিন বন্ধুরা। আবালবৃদ্ধবনিতা জলে ডুবে যাচ্ছে, ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, জনপদ জলের তলায়। ফের কবে ডাঙ্গা দেখা যাবে সেই অপেক্ষায় অস্বাস্থ্যকর ঘিঞ্জি শিবিরে সকলে বসে আছেন। সদ্যজাতের কান্না আর প্রবীণের হাহুতাশকে একটু জড়িয়ে ধরুন প্লিজ। নদীমাতৃক বাংলায় স্থলভূমি দেখা যাচ্ছে না, পর্যাপ্ত রসদ নেই। জল বাড়ছে আরো। আমি জানি বাংলাদেশ এই সমস্ত দুরূহ প্রতিকূলতা অতিক্রম করে হৈহৈ আনন্দে উঠে দাঁড়াবে। কিন্তু এখন প্রকৃতির সঙ্গে অসম যুদ্ধে ওদের লড়াকু মনোভাবে আলো জ্বেলে দিন। আমাদের মেয়ের জন্য সুবিচার চেয়েছে ওরা, ওদের প্রতি আমাদেরও তো দায় আছে। সেকথা ভুলে যাব আমরা?’
এ পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করে শ্রীলেখা লেখেন, ‘বাংলাদেশ’। পাশে একটি লাল রঙের লাভ ইমোজি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। পোস্টটি শ্রীলেখা শেয়ার করায় ভারতের অনেকে যেমন সমব্যাথী হয়েছেন, তেমনি বড় একটি অংশ হাসির ইমোজি দিয়েছেন। আর হাসির ইমোজি দেওয়া ব্যক্তিদের স্ক্রিনশট পোস্ট করে শ্রীলেখা কমেন্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি দেখে এদের হাসি পেয়েছে। কর্ম ভাই মনে রেখ, তোমার প্রয়োজনেও কাউকে পাশে পাবে না।’
এরপর রাজিব মুখার্জি নামে একজন দীর্ঘ ইতিহাস টেনে লেখেন, ‘এদের (বাংলাদেশ) দুঃখে তাদের প্রতি সমব্যথী হওয়া মানে নিজের দেশকে অপমান করা।’ এ মন্তব্যের জবাবে শ্রীলেখা লেখেন, ‘তাদের দেশের মানুষকে মরতে দেখে উল্লাস করব? তাদের দেশের বাচ্চাদের মরতে দেখে আমরা আনন্দে নাচব? কিছু মানুষের বিকৃত মনস্তত্ত্ব দেখে সমগ্র জাতির প্রতি এই ঘৃণা বলে দিচ্ছে তুমি অসুস্থ।’
ঢাকা/শান্ত