রঞ্জিত আমার ঘাড় ও চুল স্পর্শ করেন: শ্রীলেখা
মালায়ালাম সিনেমার পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে শরীর স্পর্শ করার অভিযোগ তুলেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। গত ২৪ আগস্ট ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এই গুরুতর অভিযোগ করেন তিনি।
২০০৯ সালে পরিচালক রঞ্জিত ‘পালেরি মাণিক্যম: ওরু পাথিরকোলাপথকথিন্তে কথা’ সিনেমা নির্মাণ করেন। এ সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হন শ্রীলেখা। সিনেমাটিতে মাম্মতির সঙ্গে তার অভিনয়ের কথা ছিল। পরে শ্রীলেখার পরিবর্তে শ্বেতা মেনন অভিনয় করেন।
রঞ্জিতের ডাকে কোচিতে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এক চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ রঞ্জিত আমাকে ডেকে নিয়ে যান তার শোয়ার ঘরের দিকে, সিনেমার গল্প বলার জন্য। আমি ভাবলাম, ভিড় এড়ানোর জন্য হয়তো তিনি ডাকছেন।’
পুরুষের স্পর্শের অর্থ বুঝতে পারেন নারীরা। এ তথ্য উল্লেখ করে শ্রীলেখা বলেন, ‘ঘরটি বেশ অন্ধকার ছিল। আমি ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ আমার হাতের চুড়িগুলো নিয়ে খেলতে শুরু করেন পরিচালক। আমরা নারীরা পুরুষের স্পর্শের অর্থ বুঝি। আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। কারণ রঞ্জিতের সঙ্গে আমার তেমন বন্ধুত্বও ছিল না। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। তারপর রঞ্জিত আমার ঘাড় ও চুল স্পর্শ করেন; সঙ্গে সঙ্গে আমি সেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
রোববার (২৫ আগস্ট) ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘আপনি বলতে পারেন না রঞ্জিত খারাপ ব্যবহার করেছেন। কিছু নারী-পুরুষ বলবেন এটি ক্ষতিকর অঙ্গভঙ্গি ছিল। রঞ্জিত আমার চুড়ি, চুল, ঘাড় স্পর্শ করেছিলেন। তিনি আমাকে যৌন হেনস্তা করেননি, আমার শ্লীলতাহানি করেনি, আমার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেননি। কিন্তু একজন নারী হিসেবে আমি জানি এটা কী ছিল। এটি তার জন্য লিটমাস টেস্ট ছিল। আমি তার কাজে সাড়া দিচ্ছি কিনা, সেই প্রতিক্রিয়া দেখছিলেন রঞ্জিত।’
‘আমি তাকে এ ধরনের কোনো অধিকার দিইনি। আমি বাড়ি ফিরে এ বিষয়ে কোনো কথাও বলিনি। এটি গোপন করে রেখেছিলাম। এটি অনুপযুক্ত ব্যবহার ছিল। এটি যৌন হেনস্তা ছিল না।’ বলেন শ্রীলেখা।
কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রধান ছিলেন রঞ্জিত। শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ তোলার পর এ দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পরিচালক রঞ্জিত। তবে শ্রীলেখার আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫১ বছর বয়সি এই নির্মাতা।
ঢাকা/শান্ত