‘ভুল স্বীকার করে ফিরতে চাইলে ফিরতে পারবেন’

সত্তর দশকে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন চিত্রনায়ক উজ্জ্বল। খুব বেশি সময় নেননি সুপারস্টার থেকে ‘মেগাস্টার’ হতে। মনে রাখতে হবে চলচ্চিত্রে তখন রাজ্জাক, সোহেল রানা, আলমগীর, ওয়াসিমের যুগ। কিন্তু উজ্জ্বল ব্লক ব্লাস্টার কয়েকটি সিনেমা দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। যদিও এই নায়ককে এখন আর চলচ্চিত্রে দেখা যায় না। চলচ্চিত্রের সেই সোনালি দিনও নেই। চলচ্চিত্রে সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে দলীয় প্রভাব মুক্ত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি।

দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়-অত্যাচার করা হচ্ছে বলে মনে করেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে দলীয় কার্যক্রম চালানো ঠিক নয়। দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন বিরোধীদের কোণঠাসা করে রাখা হয়। ব্যক্তি হিসেবে যার যে দলের আদর্শ ভালো লাগবে, করবেন কিন্তু চলচ্চিত্রে কেন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়–অবিচার করা হবে? এফডিসিতে সবাই মিলে চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করতে হবে।’

এই নায়ক দুঃখ করে বলেন, ‘১৫ বছর ধরে দল পাল্টানো লোকেরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নের চেয়ে নিজের উন্নয়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেছেন। ভিন্নমতের মানুষদের এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হয়নি। কোণঠাসা করে রেখেছেন। এখন সরকার পরিবর্তনের পর এফডিসিতে একসময় দল পাল্টানো লোকেরাই আবার জাতীয়তাবাদী আদর্শের দলে ভিড়তে চাইছেন। ভুল স্বীকার করে ফিরতে চাইলে ফিরতে পারবেন। তবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হবে।’

এদিকে চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলমকে আহ্বায়ক ও অভিনেতা শিবা সানুকে সদস্যসচিব করে বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এফডিসির সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে সরকারের সঙ্গে একটা সেতুবন্ধন তৈরি করবে বলে মনে করেন জীবন্ত এই কিংবদন্তি।

নন্দিত নির্মাতা সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘বিনিময়’ সিনেমায় উজ্জ্বলের আবির্ভাব। এরপর ‘সমাধি’, ‘নালিশ’, ‘উসিলা’, ‘নসিব’, ‘অপরাধ’, ‘সমাধান’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ‘রাজা বাবু’ সিনেমায় তাকে দেখা গিয়েছে।