ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

লাইভ কাণ্ডে সাদিয়া আয়মানকে বর্জনের ডাক!

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২২ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৬:৩৪, ২২ অক্টোবর ২০২৪
লাইভ কাণ্ডে সাদিয়া আয়মানকে বর্জনের ডাক!

সিনেমা কিংবা নাটকের প্রচারের প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে হয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের। কিন্তু ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান তার অভিনীত ওয়েব ফিল্মের প্রচার করতে গিয়ে বির্তকের জন্ম দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে অসংখ্য নেতিবাচক মন্তব্য। নেটিজেনদের কেউ কেউ সাদিয়া আয়মানকে বর্জনের ডাকও দিয়েছেন। এসব নেতিবাচক মন্তব্য গ্রহণ করতে না পেরে ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ করতে বাধ্য হন তিনি।

সম্প্রতি একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছেন সাদিয়া। ঢাকার রহস্যজনক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিল্মের কাহিনি। ফিল্মটির প্রচারণার কৌশল হিসেবে সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে আসেন সাদিয়া আয়মান। এসময় তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমি একটা শুট শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় যাওয়ার পথে দেখি পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো কেউ আমার গাড়ির সামনে চলে আসে। এরপর গাড়ি থামিয়ে নেমে দেখি সেখানে কেউ নেই।’

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘আমরা নিরাপদে সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। তবে ফিরে আসার পরও বাসার বিপরীত দিকে আবারো সেই ব্যক্তিকে দেখতে পাই। কিছুক্ষণ আগেও বারান্দা থেকে দেখেছি, সেই ব্যক্তি আমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে।’

আরো পড়ুন:

লাইভ চলাকীলন বারান্দায় চলে যান সাদিয়া আয়মান। সেখানে গিয়ে কালো পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখান তিনি। এরপর কাঁদতে শুরু করেন। ভীত স্বরে তিনি বলেন, ‘দেখুন আপনারা, ওই ব্যক্তি নিচে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িতে আমি ছাড়া এখন কেউ নেই...।’ এরপর লাইভটি শেষ করে দেন সাদিয়া।

ভয় পেয়ে সাদিয়া লাইভ শেষ করলেও নেটিজেনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তার নিরাপত্তা নিয়ে। অনেকে তখন তাকে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সাহায্য নিতে বলেন। সবাই যখন অভিনেত্রীর সঙ্গে কী হচ্ছে, ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন, তখন তিনি ওই ওয়েব ফিল্মটির পোস্টার শেয়ার করেন। যা দেখে সবাই বুঝতে পারেন, মূলত প্রচারের জন্যই এমন ‘লাইভ নাটক’ করেছেন সাদিয়া। এতে বিরক্ত হয়েছেন তার অনুসারীদের অনেকে।

নেটিজেনদের অনেকে সাদিয়ার এই কাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ তো শাস্তিরও দাবি তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করে সাদিয়া ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনার কি কমনসেন্সের অভাব? আপনি যদি কাজের প্রমোশন করবেন, তাহলে লাইভ শেষে বলতে পারতেন সেটা। না বলে হুট করে কেটে দিলেন। মাঝরাতে জাতির ইমোশন নিয়ে খেলার কী দরকার ছিল।’

রবিউল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে? সাদিয়া আয়মানের মতো বড় অভিনেত্রী এত বড় প্রতারণা, ধোঁকা দিলো। আর আপনারা এত রাতে তার লাইভ দেখে আবার আতঙ্কে তার জন্য চিন্তিত হচ্ছিলেন? হায়রে মাইয়া মানুষ, এই আপনাদের অভিনেত্রী, একেই বলে সত্যিকারের অভিনেত্রী।’

আরেকজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘পিও সাদিয়া আয়মান, মধ্যরাতে এই নাটকটা না করলেও পারতেন। আজকাল প্রমোশন এত সস্তা হয়ে যাচ্ছে যে, মানুষের আবেগ নিয়ে খেলতে হবে?’ একজন লেখেন, ‘ওর (সাদিয়া আয়মান) বিচার হওয়া উচিত।’ কেউ কেউ লিখেছেন, ‘বয়কট সাদিয়া আয়মান।’ কারো কারো মত, সাদিয়ার মতো অভিনয়শিল্পীদের বর্জন করা উচিত।

এমন সব মন্তব্য দেখে ফেসবুক থেকে ‘উধাও’ হয়ে গেছেন সাদিয়া আয়মান। নিজের আইডি ডিঅ্যাকটিভ করে ফেলেছেন তিনি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়