পুত্রবধূ হিসেবে এখনো মেনে নেননি আমার শাশুড়ি: পঙ্কজ ত্রিপাঠির স্ত্রী

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ‘ফুকরে’, ‘মির্জাপুর’, ‘মিমি’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। তার স্ত্রীর নাম মৃদুলা।

কয়েক মাস পরই দাম্পত্য জীবনের ২১ বছর পূর্ণ করবেন পঙ্কজ-মৃদুলা। এ সংসারে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহিত জীবনে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন তারা। কিন্তু বিয়ের এতদিন পরও মৃদুলাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেয়নি পঙ্কজের মা। কয়েক দিন আগে অতুল সঞ্চালিত পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠির স্ত্রী মৃদুলা। এ আলাপচারিতায় এমন তথ্য জানান পঙ্কজ ঘরণী।

মৃদুলা বলেন, ‘এখনো আমাদের বিয়েটি মেনে নেয়া হয়নি। আমরা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় নই। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে, একটি মেয়ে তার চেয়ে নিম্ন মর্যাদার পরিবারে বিয়ে করাকে গ্রহণ করা হয় না। আর ওই পরিবারের অন্য একটি মেয়ে যদি উচ্চ মর্যাদার পরিবারে বিয়ে করে থাকে, তবে তো বলাই বাহুল্য। এরই মধ্য আমার ননদ আমার ভাইকে বিয়ে করে। তাই আমি তাদের পরিবারে বিয়ে করতে পারি না। এটি নিম্ন মর্যাদার বলে বিবেচিত হয়।’

পঙ্কজ-মৃদুলা যখন পরস্পরের প্রতি প্রেম অনুভব করেন, তখন মৃদুলা পড়েন ক্লাস নাইনে এবং পঙ্কজ ইন্টারমিডিয়েটে। ওই সময়ে মৃদুলার অন্য জায়গায় বিয়ে প্রায় ঠিক করে তার পরিবার। এরপর পঙ্কজের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মৃদুলা তার বাবাকে জানান। এতে হতবাক হন মৃদুলার বাবা। মৃদুলা বলেন, “বাবা আমাকে বলেছিলেন— ‘আগে কেন এ কথা জানাওনি? তা হলে অন্যত্র ছেলে খুঁজে সময় নষ্ট করতাম না।’ কিন্তু আমার ভাইয়ের স্ত্রী (পঙ্কজের বোন) ও আমার মা রেগে যান।”

একটা সময় পর মৃদুলা-পঙ্কজের সম্পর্ক মেনে নেয় তাদের পরিবারের সদস্যরা। যদিও এর পার্থক্যগুলো এখনো দৃশ্যমান। এসব তথ্য উল্লেখ করে মৃদুলা বলেন, ‘একবার হট্টগোল হয়েছিল। ভাবি, মা খুশি ছিলেন না। সে (পঙ্কজ) কীভাবে আমার যত্ন নেবে তা নিয়ে আমার মা উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা আমাদের মেনে নেন।’

পঙ্কজের মা এখনো মৃদুলাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেননি। মৃদুলা বলেন, ‘এখনো আমার শাশুড়ি আমাকে মেনে নেননি। কেন মেনে নেননি তা আমি আগেই উল্লেখ করেছি। তিনি এখনো আমাদের মিলন নিয়ে বিরক্ত। কিন্তু এখন আমরা কি করতে পারি?’

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে