হাঁটতে না পারা ছেলেটি ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’ বিজয়ী
ছোটবেলায় ঠিকমতো হাঁটতে না পারা স্টিভ জায়রা জিতে নিয়েছেন টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’-এর চতুর্থ সিজনের ট্রফি। রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত হয় এ শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে।
পুরস্কার হিসেবে স্টিভ জায়রা পেয়েছেন ১৫ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বেশি)। পাশাপাশি স্টিভ জায়রাকে একটি ট্রফি ও একটি গাড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে।
বিজয়ী হওয়ার পর হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্টিভ। তিনি বলেন, ‘আমি যখন এই যাত্রা এবং ট্রফি বিজয়ের কথা ভাবি, আমার গা শিউরে ওঠে। কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের ফল এটা। কঠোর পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত ফল এনে দেয়। কথায়ই তো আছে— ধৈর্যের ফল মিষ্টি।’
জয়ী হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে স্টিভ বলেন, ‘আমি মনে করি, বেড়ে ওঠার সময়ে আমি যেসব সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এসেছি, এটি তারই ফসল। কঠোর পরিশ্রম বৃথা যেতে দিইনি। বাস্তবে দিনটি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, এজন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি। দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তটার অপেক্ষায় ছিলাম। এই জয়ের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি যখন ট্রফি হাতে নিই, তখন আমার নানির চোখে-মুখে আমাকে নিয়ে যে গর্বের অনুভূতি দেখেছিলাম…।’
ছোটবেলায় হাঁটতে পারতেন না স্টিভ। এ সময়ে তার মা ও নানি তাকে নিজের পায়ে হাঁটাতে সহযোগিতা করেছেন। এ তথ্য উল্লেখ করে স্টিভ বলেন, ‘যে ছেলেটি নিজের পায়ে চলতে পারত না, সে ফুটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত হয়ে গেল।’
‘মাঝে মাঝে নিজেও বিশ্বাস করতে পারি না, আমি আমার শৈশবে হাঁটতে পারতাম না। আমার নানি আর আমার মা আমাকে সব বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। তাদের শক্তি এবং উৎসাহের কারণে আমি আজ হাঁটতে এবং নাচতে পারি।’ বলেন স্টিভ।
স্টিভ ছাড়াও গ্র্যান্ড ফিনালে লড়াই করেন— হর্ষ কেশরী, নেক্সশন, নেপো, আকাঙ্ক্ষা মিশ্রা (আকিনা), আদিত্য মালব্য। এ আসরে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কারিশমা কাপুর, গীতা কাপুর, টেরেন্স লুইস। এটি সঞ্চালনা করেন জয় ভাঁনসালি ও অঙ্কিতা চৌহান।
ঢাকা/শান্ত