আমার পকেটে একটাও বিড়ি নেই: সব্যসাচী
ভারতীয় বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। বয়স আর শারীরিক অসুস্থতা তাকে বেশ চেপে ধরেছে। ৬৮ বছর বয়সি এই অভিনেতার বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছে। তারপরও টুকটাক অভিনয় করছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ‘ফেলুদা’খ্যাত সব্যসাচী চক্রবর্তী একজন ধূমপায়ী। এ পরিস্থিতিতে এখনো কি ধূমপান করেন সব্যসাচী? এ নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বরেণ্য এই অভিনেতা।
সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘না, ছেড়ে দিয়েছি! ভাবতে পারছেন? আমার পকেটে একটাও বিড়ি নেই, সঙ্গে কোনো দেশলাই নেই। তবে শুটিংয়ে লুকিয়ে ধূমপান করেছি। কিন্তু আশেপাশে অনেক চর আছে, স্ত্রীর কানে খবর পৌঁছে যায়।’
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। এ তথ্য উল্লেখ করে সব্যসাচী বলেন, “চল্লিশ বছর ধরে ধূমপান করার পর হঠাৎ বন্ধ করলে মেজাজ একটু খিটখিটে হয়ে যায়। বাড়িতেও তার প্রভাব পড়ে। স্ত্রী বয়সের কথা বললে আমি তখন বলি ধূমপান করছি না, তাই মেজাজটা খিটখিটে হয়ে গিয়েছে। ও তখন অবাক হয়ে বলে— ‘এটাই তোমার অজুহাত!”
১৯৫৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সব্যসাচী। ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। হংসরাজ কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে দিল্লিতে এএমআই পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ১৯৮৬ সালে মিঠু চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে গৌরব ও অর্জুন নামে দুই ছেলে রয়েছে।
১৯৯২ সালে অভিনয়ে নাম লেখান সব্যসাচী। ‘তেরো পার্বন’ টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ‘রুদ্রসেনের ডায়েরি’ টিভি সিরিয়ালে প্রথম গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের।
সব্যসাচীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে— সত্যজিৎ রায়ের ‘ফেলুদা’, সন্দীপ রায়ের ‘বাক্স রহস্য’। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অন্তর্ধান’। এছাড়াও তার অভিনীত সিনেমা হলো: ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘তিনকাহন’, ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’, ‘ল্যাবরেটরি’, ‘গোরস্থানে সাবধান’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ প্রভৃতি। অভিনয় ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতি তার ভালোবাসা রয়েছে। তিনি একজন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার।
ঢাকা/শান্ত