জার্মানিতে প্রদর্শিত হবে যুথীর ‘হু স্পিক্স ফর আস’
জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর হামবুর্গে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশি নির্মাতা জিনাত হোসেন যুথী নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হু স্পিক্স ফর আস’। সহনির্মাতা হিসেবে কাজ করেছেন আলোকচিত্রী আহমেদ রাসেল।
অভিনেত্রী-পরিচালক জিনাত হোসেন যুথী সুইজারল্যান্ড থেকে রাইজিংবিডিকে জানান, আগামী ২১ নভেম্বর জার্মানির হামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত হবে এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস (এ্যানজাস্ট) নেটওয়ার্ক। এটি ৩ দিন ধরে চলবে। জার্মানির কীল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করেছে এই অ্যানুয়াল কনফারেন্স। এবারের এ্যানজাস্ট কনফারেন্সে দেখানো হবে বাংলাদেশি নির্মাতা ও গবেষক জিনাত হোসেন যুথীর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হু স্পিক্স ফর আস’। যার বাংলা নাম ‘আমাদের কথা কে বলবে?’।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার চিংড়ি ঘেরের মালিকদের অবৈধ দখলের হাত থেকে খাল উদ্ধার আন্দোলন ও নেপালের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী কর্মীদের আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটি। এর নেপাল অংশের রচনা, নির্মাণ ও নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন সুইজারল্যান্ডের বার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও ইনস্টিটিউট অব জিওগ্রাফির কো ডিরেক্টর প্রফেসর সুজান থিইম। বাংলাদেশ অংশের ভিডিওধারণ যৌথভাবে করেছেন জিনাত জোসেন যুথী ও আহমেদ রাসেল। নেপাল অংশের ভিডিওধারণ করেছেন সনি কে সি ও প্রফেসর থিইম। সুন্দরবনের স্থানীয় বাসিন্দা ও নেপালের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী কর্মীরা চলচ্চিত্রটির চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ল্যাব (মিডিয়া ল্যাব) প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পী ও গবেষকরা কি করে যৌথভাবে সাইন্স-আর্টস কলাবোরেশন উদ্যোগকে জোরদার করতে পারে, তারই একটি পদক্ষেপ বলেও জানিয়েছেন যুথী।
২০০৫ সালে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন যুথী। অভিনয়, উপস্থাপনা, চিত্রনাট্য ও নির্মাতা হিসেবে দেড় যুগ নিজেকে শানিত করেছেন। তার পিএইচডি ও পোস্টডক গবেষণার কিছু অংশকে সেলুলয়েডে ধারণ করেছেন এই অভিনেত্রী। বেলজিয়ামের কেইউ লুভেন থেকে গতবছর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন যুথী। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার ও যুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
‘হু স্পিক্স ফর আস’ সিনেমার সহনির্মাতা আহমেদ রাসেল পুরস্কার বিজয়ী আলোকচিত্রী ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট। ফটোগ্রাফি ইনস্টিটিউট কাউন্টার ফটো সেন্টার ফর ভিজ্যুয়াল আর্টসের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। চলতি বছরের শুরুতে যুথী ও রাসেল সুন্দরবনে ফিল্ম ও ফটোগ্রাফিকে গবেষণা টুলস হিসেবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তারা নিবিড়ভাবে সুন্দরবন ও বানবাসী মানুষ, তাদের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ পর্যবেক্ষণ করেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করেন। সুন্দরবনে তাদের সহায়তা করে মধুসুদন মন্ডল ও সাংবাদিক আফজাল হোসেন।
এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস নেটওয়ার্ক পরিবেশ বিষয়ক অধ্যাপক, গবেষক, ও বিজ্ঞানীদের একটি সক্রিয় নেটওয়ার্ক; যা পরিবেশগত ন্যায়বিচারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ায়। পাশাপাশি পরিবেশগত সমস্যায় প্রভাবিতদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণকে জোরালো করার জন্য কাজ করে।
ঢাকা/শান্ত