আদালতে ধানুশ-ঐশ্বরিয়া: ৬ দিন পর বিচ্ছেদের রায়
ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে ধানুশ
ভারতের তামিল সিনেমার সুপারস্টার ধানুশ। ব্যক্তিগত জীবনে রজনীকান্তের কন্যা নির্মাতা ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ২০২২ সালের শুরুতে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন এই দম্পতি।
পরবর্তীতে পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এ মামলার শুনানি থাকায় চেন্নাই কোর্টে উপস্থিত হয়েছিলেন এই দম্পতি। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এর আগে তিনটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমঝোতার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে পুনরায় সংসার করার পরামর্শ দেন আদালত। কিন্তু ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া পুনরায় সংসারে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে তিনবারই ব্যর্থ হন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এ মামলার শুনানি ছিল। চেন্নাই কোর্টে আলাদা আলাদাভাবে হাজির হন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। কিন্তু আজও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি আদালত। আগামী ২৭ নভেম্বর নতুন করে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিন, ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন ধানুশ। তাতে তিনি লেখেন, “১৮ বছর একসঙ্গে বন্ধু, দম্পতি, মা-বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ছিলাম। উন্নতি, পরস্পরের প্রতি বোঝাপড়া, মানিয়ে নেওয়া, আয়ত্ত্ব করার একটা জার্নি ছিল। আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া ও আমি দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য সময় নিচ্ছি।” একই বিবৃতি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তও।
ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর ধানুশ ও তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে— যাত্রা ও লিঙ্গা। ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় ‘থ্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেন ধানুশ। এই সিনেমার ‘কলাভেরি ডি’ গানটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।
ঢাকা/শান্ত