নীলমের সঙ্গে সত্যিই প্রেম ছিল গোবিন্দর?
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে অ্যাকশন হিরো হিসেবে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন গোবিন্দ। নব্বই দশকে কমেডি হিরো হিসেবে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন। তার কৌতুকপূর্ণ অভিনয় হিন্দি সিনেমার দর্শকরা সাদরে গ্রহণ করেন এবং তাতে ভীষণ আনন্দ খুঁজে পান।
১৯৮৬ সালে ‘লাভ ৮৬’ সিনেমার মাধ্যমে একসঙ্গে বলিউডে অভিষেক ঘটে গোবিন্দ ও অভিনেত্রী নীলম সোনির। নীলম ও গোবিন্দর পর্দার রসায়ন দারুণ পছন্দ করেন দর্শকরাও। আশি থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত এ জুটি একসঙ্গে ১৪টি সিনেমায় কাজ করেন। তাদের পর্দার রসায়ন ব্যক্তি জীবনেও গড়ায়। নব্বই দশকে স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনকে গোবিন্দ বলেছিলেন— “সম্ভবত আমি নীলমকে বিয়ে করতাম।”
‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ তারকার এ বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর নীলম-গোবিন্দর প্রেম নিয়ে চর্চা আরো জোরালো হয়। সময়ের সঙ্গে নীলম-গোবিন্দর সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের কাটাছেঁড়া হয়েছে। তবে নীরব ছিলেন নীলম। দীর্ঘ সময় পর নীরবতা ভাঙলেন এই অভিনেত্রী।
কয়েক দিন আগে ভারতীয় গণমাধ্যম হাটারফ্লাইকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নীলম। এ আলাপচারিতায় গোবিন্দর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন— “না, ছিল না। আমার মনে হয়, এটা জুড়ে দেওয়ার একটি খেলা ছিল। কিন্তু তখন এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করার কেউ ছিল না।”
সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমকে ভীষণ ভয় পেতেন তারকারা। এ কথা স্বীকার করে নীলম বলেন, “তারা যা খুশি তাই ছাপিয়েছে। সত্যি বলতে, সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমকে আমরা ভয় পেতাম। কারণ, এটি কলমের শক্তি, এটিও তারই অংশ ছিল। যখনই কেউ ২-৩টি সিনেমা একসঙ্গে করেছেন, তখন ধরেই নেওয়া হতো তারা সম্পর্কে রয়েছেন।”
১৯৮৭ সালে সুনীতা আহুজাকে বিয়ে করেন ‘রাজা বাবু’খ্যাত গোবিন্দ। প্রেম করেই বিয়ে করেন তারা। এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ বলেছিলেন, “প্রথম যখন আমাদের প্রেম হয়, তখন আমার বয়স ছিল ২১ বছর। আর সুনীতার বয়স ছিল ১৪ কী ১৫। সে দেখতে অনেকটাই কিশোরীর মতো ছিল। প্রেম করার জন্য ও বয়সে এতটাই ছোট ছিল যে আমি ভয় পেতাম। কিন্তু ও আমাকে ভালোবাসত, ডেটিংয়ে যেতে চাইত।”
সুনীতার সঙ্গে বাগদান ভেঙে দিয়ে নীলমকে বিয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন ‘আখিওসে গোলি মারে’ তারকা গোবিন্দ। সেই স্মৃতিচারণ করে স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনকে গোবিন্দ বলেছিলেন, “আমাদের সম্পর্কের এক পর্যায়ে সুনীতার মাঝে পরিবর্তন দেখতে পাই, সে ঈর্ষা করতে শুরু করে। আমি রাগ ধরে রাখতে পারছিলাম না। নীলম সম্পর্কে নানা কথা বলছিল সুনীতা। আমি সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানি। সুনীতাকে আমার জীবন থেকে সরে যেতে বলি, বাগদান ভেঙে দিই। এ ঘটনার ৫ দিন পর সুনীতা যদি আমাকে কল না করত, আমার রাগ না ভাঙাতো, তবে সম্ভবত নীলম আমি বিয়ে করতাম।”
এ ঘটনার পর ছোট আয়োজনে বিয়ে করেন সুনীতা আহুজা ও গোবিন্দ। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। দীর্ঘ এই পথচলায় তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন।
২০০০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী ঋষি শেঠিয়াকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী নীলম। কিন্তু এ সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ২০১১ সালে অভিনেতা সমীর সোনিকে বিয়ে করেন। ২০১৩ সালে একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেন তারা। কন্যার নাম রেখেছেন অহনা।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত