ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা খুবই বিশ্রী ছিল: শাবানা আজমি
‘ফায়ার’ সিনেমার পোস্টার, শাবানা আজমি (বাঁ থেকে)
শাবানা আজমি অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘ফায়ার’। সিনেমাটিতে খোলামেলাভাবে সমকামী সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। এটি পরিচালনা করেন দীপা মেহতা। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
বিশেষ করে সিনেমাটির কিছু দৃশ্য নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো। তারা দাবি করেছিল— “এটি অনৈতিক, পর্নোগ্রাফি এবং ভিনদেশি সংস্কৃতি।” কেউ কেউ দাবি করেছিলেন— “সিনেমাটি ভারতের নারীদের ধ্বংস করে দেবে।” প্রায় তিন দশক পর সিনেমাটিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন শাবানা আজমি।
কয়েক দিন আগে রেডিও নাশাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শাবানা আজমি। এ আলাপচারিতায় ‘ফায়ার’ সিনেমায় যুক্ত হওয়ার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “আমি চিত্রনাট্য শুনেই পছন্দ করে ফেলি। কারণ আমি সচেতন ছিলাম। এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে ভারতীয়রা কথা বলেন না। তারা সবসময়ই এটিকে বিছানার নিচে লুকিয়ে রাখে। ‘এটি কি আমি করতে পারি?’ এ প্রশ্নের চেয়েও জরুরি— ‘এটা কি আমার করা উচিত?’ এসব ভাবনা আমাকে বিরক্ত করছিল। আমি কেবল ভাবছিলাম, এই সিনেমা মুক্তির পর কী ঘটবে তাই নিয়ে।”
সিনেমাটিতে অভিনয়ের সম্মতি দেওয়ার আগে স্বামী জাভেদ আখতারকে অভিহিত করেন শাবানা। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাবানা আজমি বলেন, “আমি জাভেদ সাবের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি। সে জানতে চায়, ‘তোমার কি এই চিত্রনাট্য পছন্দ?’ আমি বলি, ‘হ্যাঁ।’ এ কথা শুনেই বলে, ‘তা হলো করো।’ সে আমাকে ব্যাখ্যা করে বলে, ‘এই সিনেমা বিতর্ক ছাড়া হবে না। মুক্তির পর তুমি যদি এটি মেনে দিতে পারো, তবে করো।”
সিনেমাটির ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ‘বিশ্রী’ ছিল বলে মন্তব্য করেন শাবানা আজমি। সেই ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “সেই সময়ে নন্দিতাকে আমি চিনতাম না। শুটিংয়ের প্রথম দিনে দীপা আমাদের প্রেমের দৃশ্যের রিহার্সেল করতে বলেছিলেন। নন্দিতা এবং আমি কেউই এই ধরনের দৃশ্য করতে অভ্যস্ত ছিলাম না। তাই রিহার্সেলের সময় নন্দিতা তার হাতের আঙুল আমার ঠোঁটে রেখেছিল। কিন্তু রোমান্টিক হচ্ছিল না। তারপর দীপা চিৎকার করে বলেছিল, ‘আমি তোমাকে দাঁত ব্রাশ করতে বলিনি।’ এই ধরনের দৃশ্যের শুটিং করা আমাদের জন্য খুবই বিশ্রী ছিল।”
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিং মাত্র কয়েকজন নিয়ে সম্পন্ন করেন পরিচালক। এ বিষয়ে শাবানা আজমি বলেন, “এরপর দীপা সিদ্ধান্ত নেয়, আমি, নন্দিতা, দীপা আর ক্যামেরাম্যান ছাড়া আর কেউ সেটে থাকবে না। দীপা নিরাপদ একটি পরিবেশ তৈরি করেছিল।”
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮
ঢাকা/শান্ত