বাংলাদেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে: চিরঞ্জিত চক্রবর্তী
কলকাতা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী
“ওরা দু’একজন নায়িকা ছাড়া কাউকে নেয় না। কিছু কাজ কমবে। কিন্তু ক্ষতি বেশি হবে বাংলাদেশের।”— ভারত-বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কথাগুলো বলেন টলিউড অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিধানসভা অধিবেশন শেষে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশে আমার প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। আমি জানি না আমার ভক্তরা কিছু করতে পারবেন কিনা। কারণ ইস্যুটা সোসিও পলিটিক্যাল। তবে আমার মনে হয়, স্থিতাবস্থায় ফিরে আসা ভালো। আমি বলব, সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে একটা ঠিক জায়গায় পৌঁছাক। যেমন আমাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক ছিল, সেটা যেন ফিরে আসে।”
ভক্তদের উদ্দেশ্যে চিরঞ্জিত বলেন, “আমাকে যদি ভালোবাসেন, আমার সিনেমা যদি দেখেন, তাহলে বলব হিংসা বর্জন করতে হবে।”
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন দুই দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রভাব ফেলবে কিনা? এ প্রশ্ন করার পর চিরঞ্জিতের ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমার প্রসঙ্গ উঠে আসে। চিরঞ্জিত বলেন, “সিনেমাটি আগে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছিল, পরবর্তীতে সেই গল্প অনুকরণে টালিগঞ্জে সিনেমা তৈরি হয়। এই ধরনের সিনেমা আগে এদিকে হয়নি পরেও হয়নি। কিন্তু ওরা একটা ট্রেন্ড দিয়েছিল। একসঙ্গে বেশকিছু যৌথ প্রযোজনার সিনেমা তৈরি হয়েছিল। বুম্বা (প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি) করেছে, গৌতম (পরিচালক গৌতম ঘোষ) করেছে। কম্বিনেশনটা তো নষ্ট হবেই।”
দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেন চিরঞ্জিত। তার ভাষায়, “সাধারণভাবে খুব একটা সমস্যা হবে না। কারণ বাংলাদেশ আমাদের থেকে দু’একজন নায়িকা নেওয়া ছাড়া কাউকে নেয় না। নায়ক তো কখনই নেবে না। সবমিলিয়ে কিছু কাজ কমবে, তবে ক্ষতি বেশি হবে বাংলাদেশের।”
আরো ব্যাখ্যা করে চিরঞ্জিত বলেন, “এখানকার হাসপাতালে প্রচুর বাংলাদেশি চিকিৎসা করাতে আসতেন। এখন হয়তো তারা আসতে পারবেন না। এখানকার হাসপাতালগুলোতে কিছু রোগী কম হবে। কিন্তু আবারো বলছি, ওদের ক্ষতি বেশি হবে। ভারতের উপর ওরা অনেক বেশি নির্ভরশীল, আমরাও কিছুটা নির্ভরশীল। মনে হয় না ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এমন কিছু ক্ষতি হবে, যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমাদেরই বাঁচতে হবে। আমরা নিজেরাই তো সারা বছরে একটা সিনেমা হিট দিয়েছি। একটা সিনেমায় ইন্ডাস্ট্রি চলবে না।”
চিরঞ্জিত খানিকটা উৎসাহী হয়ে বলেন, “ভারত থেকে প্রচুর খাদ্যসামগ্রী বাংলাদেশে যায়। যেমন: আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি। হয়তো ওরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। চীন ওদের খুব বড় বন্ধু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা অদ্ভুত ব্যাপার, চীনে মুসলিম নিধন চলে, ওখান থেকে মেরে তাড়ায়।”
ঢাকা/সুচরিতা/শান্ত