ঢাকা     মঙ্গলবার   ১১ মার্চ ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২৬ ১৪৩১

মানুষ অর্থের জন্য এসব করে, আমার কীসের অভাব ছিল: মমতা কুলকার্নি

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৮:২৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
মানুষ অর্থের জন্য এসব করে, আমার কীসের অভাব ছিল: মমতা কুলকার্নি

মমতা কুলকার্নি

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। অভিনয় ক্যারিয়ারে ‘খিলাড়ি’, ‘বাজি’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পেয়েছেন দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে এই অভিনেত্রী। ২৪ বছর পর ভারতে ফিরেছেন মমতা। দেশে ফিরে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফের ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নব্বই দশকের সাড়া জাগানো এই অভিনেত্রী।

২০১৬ সালে থানে পুলিশ ২ হাজার কোটি রুপির একটি মাদক পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে; যেখানে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে। মূলত, মমতা কুলকার্নি ও তার সঙ্গী কথিত মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে পরিচয়ের স্মৃতিচারণ করে মমতা কুলকার্নি বলেন, “১৯৯৬ সালে ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। ১৯৯৭ সালে মাদক মামলায় ভিকি গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়; ১২ বছর জেলে ছিলেন। সেই সময় তিনি আমার সঙ্গে আবারো দেখা করতে চান। এরপর আমি তার সঙ্গে একবার দেখা করি। তখন অবশ্য আমি পুরোপুরি আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করেছি। ২০১২ সালে কুম্ভ মেলায় স্নান করতে যাই, তারপর ভিকিও কেনিয়ায় চলে যায়।”

আরো পড়ুন:

জোর গুঞ্জন রয়েছে, ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেছেন মমতা। তবে  এ তথ্য সত্য নয় বলে জানান এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়, “এ সবই আমার ভুল। আমি ভিকিকে বিয়ে করিনি। আমি ১২ বছর ব্রহ্মচর্য জীবন কাটিয়েছি; সেই সময় আমি আমিষও খেতাম না। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে আমি ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। তার প্রতি সবসময় ভালোবাসা থাকবে। আধ্যাত্মিকতার দিকে মনোযোগ দেওয়ার কারণে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। আমি কেনিয়াতেও ভিকির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তবে মাদক মামলায় তাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় আট বছর হয়ে গিয়েছে সব যোগাযোগ বন্ধ।”

মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত নন মমতা। তাই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “বলুন তো আমার কীসের অভাব ছিল? মানুষ অর্থের জন্য এসব করে। সেই সময়ে আমার কাছে ১০টি বড় সিনেমার প্রস্তাব ছিল। তিনটি বাড়ি ও দুটি গাড়ি ছিল। তবে এখন পুরোপুরি বলিউড ছেড়ে দিয়েছি। ভিকির জন্যই মাদক মামলায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছিল বলে আমি মনে করি।”

পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্তা মমতার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করেছিল। তিনি মমতাকে পলাতক বলেও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই পুলিশ কমিশনার আজ কোথায় সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো প্রমাণ নেই বলেও জানান মমতা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়