প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৈশাখী টেলিভিশনে নানা আয়োজন
ছবির কোলাজ
সফলতার সঙ্গে ২০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় টিভি চ্যানেলটি। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখীর পর্দা সাজানো হয়েছে গান, নাটকসহ নানা অনুষ্ঠান দিয়ে।
সকাল ১১টায় বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে রয়েছে কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ‘২০ বছরে বৈশাখী’ শিরোনামে সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান, চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে থাকবে দেশের স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা বক্তব্য।
ডেপুটি হেড অব প্রোগ্রাম লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় সরাসরি বৈশাখীর সংগীতানুষ্ঠান ‘২০ বছরে বৈশাখী’ প্রচার হবে ১০টি সেগমেন্টে। প্রথম সেগমেন্ট শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তাসনুভা মোহনার উপস্থাপনায় দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করবেন মনজুরুল ইসলাম খান ও চম্পা বনিক। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়ে দ্বিতীয় সেগমেন্টে নজরুল সংগীত পরিবেশন করবেন দেবলিনা সুর ও ইউসুফ আহমেদ খান। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আধুনিক গান গাইবেন খুরশিদ আলম ও শবনম প্রিয়াংকা, বেলা ১১টা ২০ মিনিটে গাইবেন নদী ও তাসনিম স্বর্ণা।
তাবাসসুম প্রিয়াংকার উপস্থাপনায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আধুনিক গান গাইবেন সাব্বির ও প্রিয়াংকা বিশ্বাস। দুপুর ১টা ১০ মিনিটে নাশিদ পরিবেশন করবেন গাজী আনাস ও তার দল। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন কামরুজ্জামান রাব্বী ও লিটা সরকার। বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন সায়েরা রেজা ও সাগর বাউল। তমা রসিদের উপস্থাপনায় সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন আশিক ও অনন্যা আচার্য্য। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বৈশাখী ফোক লাইভে অংশ নেবেন সালমা ও তার দল।
সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও সরাসরি ইসলাম ও সমাধান নিয়ে হাজির হবেন উপাস্থাপক এইচ এম বরকতউল্লাহ। অতিথি হিসেবে থাকবেন ইসলামী স্কলার আহমদ উল্লাহ। রাত ১০টায় প্রচার হবে মহিন খানের রচনা ও পরিচালনায় একক নাটক ‘টক্কর’। এতে অভিনয় করেছেন নিলয়, হিমি, রাশেদ সীমান্ত, ময়মুনা মম প্রমুখ।
রাত ১২টায় প্রচার হবে বাংলা সিনেমা ‘মিয়া বাড়ির চাকর’। এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, রাজ্জাক, হুমায়ুন ফরীদি প্রমুখ।
২০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, “আমাদের জন্য দিনটি বড়ই আনন্দের। ২০টি বছর একটি চ্যানেলের জন্য কম কথা নয়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যারা বৈশাখী টেলিভিশনের সঙ্গে ছিলেন, এখনো যারা আছেন তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বৈশাখী টেলিভিশন যাত্রা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের কথা চিন্তা করে নানাবিধ অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। কারণ দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভবিষ্যতেও বৈশাখী টেলিভিশন সব শ্রেণির দর্শকের কথা মাথায় রেখে আরো নতুন নতুন অনুষ্ঠান এবং বরাবরের মতো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে। ব্যাপক আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু বিশেষ কারণে এবারো বৈশাখী টিভি কার্যালয়ে তেমন আয়োজন থাকছে না, তবে পর্দায় আয়োজনের কোনো কমতি নেই। ২০ বছরে বৈশাখী টিভির এ আয়োজন দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সবশেষে এমন আনন্দঘন মুহূর্তে বৈশাখী টেলিভিশনের সম্মানীত সকল দর্শক, বিজ্ঞাপণদাতা, কেবল অপারেটরসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত