‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমায় সালমানের বিপরীতে যার অভিনয়ের কথা ছিল
‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমার পোস্টার, উপাসনা
সুরাজ বারজাতিয়া নির্মিত সুপারহিট সিনেমা ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’। এতে সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন ভাগ্যশ্রী। ১৯৮৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটি মুক্তির পর কেটে গেছে ৩৫ বছর। এতদিন পরে জানা গেল, সালমান খানের বিপরীতে প্রথম পছন্দ ছিলেন উপাসনা সিং। কিন্তু পরিচালক সুরাজের বাবা রাজ কুমার এ অভিনেত্রীকে বাদ দেন।
কয়েক দিন আগে সিদ্ধার্থ কানানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৪৯ বছরের উপাসনা। তার বাদ পড়ার পেছনে অদ্ভুত একটি কারণ ছিল; যা এই আলাপচারিতায় ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
উপাসনা বলেন, “সিনেমা ও আমার চরিত্রের বিষয়ে সবকিছুই বলেছিলেন সুরাজ বারজাতিয়া। সে আমাকে নির্বাচিত করেছিল। বলেছিল, ‘আগামীকাল এসে আমার বাবার সঙ্গে দেখা করো। আমার দিক থেকে সবকিছুই ঠিক আছে।’ পরের দিন আমি তার বাবার সঙ্গে দেখা করি এবং সে আমাকে সিনেমাটি থেকে বাদ দেয়। তারা খুবই ভালো মানুষ। সুতরাং সে আমাকে ‘বাতিল’ বলেনি। কিন্তু তারা আমাকে পুনরায় আর ডাকেনি।”
এ ঘটনার ১৪ বছর পর উপাসনা সুরাজ বারজাতিয়ার সঙ্গে ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু’ সিনেমায় কাজ করেন। সিনেমাটির শুটিং সেটে রাজ কুমার বারজাতিয়ার সঙ্গে দেখা হয় উপাসনার। সেখানে সিনেমাটি থেকে উপাসনাকে বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন রাজ কুমার।
উপাসনা বলেন, “তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি কি জানো ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমার জন্য প্রথম পছন্দ কে ছিল?’ সেখানে কারিনা, অভিষেক এবং হৃতিক উপস্থিত ছিলেন। সিনেমাটির কাজ হারানোর পর আমি কাউকেই বিষয়টি জানায়নি। এরপর তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল উপাসনা।’ এ কথা শুনে সবাই বিস্মিত হন। আমি মজা করেই বলি, ‘আপনার কারণেই চরিত্রটি আমি পাইনি।’ জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি তোমাকে নির্বাচন করতাম, তবে তুমিও ভাগ্যশ্রীর মতো সিনেমাটির কাজ ছেড়ে দিতে।”
এরপর উপাসনাকে বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন রাজ কুমার। উপাসনা বলেন, “তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। তুমি সালমানের চেয়ে লম্বা। কিন্তু সালমানের চেয়ে খাটো কাউকে নিতে চাচ্ছিলাম; যার কারণে তোমাকে সিনেমাটিতে নেয়া হয়নি।”
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত