দুপুরে এফডিসিতে অঞ্জনার প্রথম জানাজা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
অঞ্জনা রহমান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এফডিসিতে সদ্যপ্রয়াত এ অভিনেত্রীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
এ তথ্য জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
টানা ১০ দিন অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন অঞ্জনা রহমান। কিন্তু আশানুরূপ কোনো উন্নতি না হওয়ায় বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তির আগে টানা ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন অঞ্জনা।
অঞ্জনা একাধারে অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ের এই নায়িকা দীর্ঘদিন থেকেই পর্দার আড়ালে। সিনেমায় কাজ না করলেও তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
অঞ্জনা তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি কাজ শুরু করলেও তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘দস্যু বনহুর’। শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত এ সিনেমাটি ১৯৭৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়। চিত্রজগতে আসার আগে অঞ্জনা একজন নামকরা নৃত্যশিল্পী ছিলেন।
যৌথ প্রযোজনার সুবাদে বাংলাদেশের বাইরে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, তুরস্কের সিনেমাতেও ছিল বিশাল পরিচিতি। সেখানকার জনপ্রিয় নায়কদের সঙ্গে করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি দু’বার বাচসাস, নৃত্যে দু’বার শ্রেষ্ঠ জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
ঢাকাই সিনেমার নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে ৩০টি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। এর মধ্যে ‘অশিক্ষিত’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘আশার আলো’, ‘জিঞ্জির’, ‘আনারকলি’, ‘বিধাতা’, ‘বৌরানী’, ‘সোনার হরিণ’, ‘মানা’, ‘রাম রহিম জন’, ‘সানাই’, ‘সোহাগ’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ও ‘অভিযান’ উল্লেখযোগ্য।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো মাটির মায়া (খান আতাউর রহমান), অশিক্ষিত (আজিজুর রহমান), চোখের মণি ও সুখের সংসার (নারায়ণ ঘোষ মিতা), জিঞ্জির, অংশীদার ও আনারকলি (দিলীপ বিশ্বাস), বিচারপতি (গাজী মাজহারুল আনোয়ার), আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ (শফি বিক্রমপুরী), অভিযান (নায়করাজ রাজ্জাক), মহান ও রাজার রাজা (আলমগীর কুমকুম), বিস্ফোরণ (এফ আই মানিক), ফুলেশ্বরী (আজিজুর রহমান), রাম রহিম জন (সত্য সাহা), নাগিনা (মতিউর রহমান বাদল), পরীণিতা (আলমগীর কবির) প্রভৃতি।
ঢাকা/রাহাত/টিপু