ঢাকা     সোমবার   ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৩ ১৪৩১

অঞ্জনাকে স্মরণ করে ‘ওস্তাদের’ শেষ ভালোবাসা 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ৪ জানুয়ারি ২০২৫  
অঞ্জনাকে স্মরণ করে ‘ওস্তাদের’ শেষ ভালোবাসা 

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। অঞ্জনার মৃত্যুতে মিডিয়া অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা  জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ মিডিয়া অঙ্গনের অনেকেই। নন্দিত এই নায়িকার প্রথম সিনেমার নায়ক অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানাও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন। 

নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়ার পেছনে সোহেল রানার অবদান রয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন অঞ্জনা নিজেই। এ জুটির মু্ক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘দস্যু বনহুর’। সিনেমায় আনার জন্য সোহেল রানার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন অঞ্জনা। অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানাকে ‘ওস্তাদ’ সম্বোধন করতেন এই অভিনেত্রী। গণমাধ্যমে বলেছিলেন, “আমাকে বাংলা চলচ্চিত্রে নিয়ে আসার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ চলচ্চিত্রে আমার ওস্তাদ কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ড্যাশিং হিরো মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ভাইয়ের প্রতি। তিনি আমাকে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসেবে নিয়েছিলেন।”

অঞ্জনার মৃত্যুতে ফেসবুকে সোহেল রানা লিখেছেন, “না ফেরার দেশে চলে গেল অঞ্জনা। চলচ্চিত্র জগতের একটা আলো নিভে গেল। আল্লাহ তোমাকে বেহেস্ত নসিব করুন।”

১৯৭৬ সালে ‘দস্যু বনহুর’ মুক্তি পায়। এ সিনেমায় অঞ্জনা সোহেল রানার নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। এর আগে থেকেই অঞ্জনা নাচের শিল্পী হিসেবে দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করেন। নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার পরিচিতির কারণেই সহজে তিনি ডাক পান সিনেমায়।

প্রথম সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এরপর প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। প্রায় ৩০টি সিনেমায় নায়িকা হয়েছেন নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে করেছেন ১৭টি সিনেমা। অঞ্জনা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্নার বিপরীতে অভিনয় করেছেন। 

ভারতের মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের ফয়সাল, নাদিম, জাভেদ শেখ, ইসমাইল শাহ, নেপালের শীবশ্রেষ্ঠ, ভুবন কেসির মতো অভিনয়শিল্পীদের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে দেখা গেছে তাকে, যা বাংলাদেশি কোনো অভিনেত্রী হিসেবে এক বিরল অভিজ্ঞতা।

অঞ্জনা অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘মাটির মায়া’,  আজিজুর রহমানের ‘অশিক্ষিত’, নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘চোখের মণি’ ও ‘সুখের সংসার’, দিলীপ বিশ্বাসের ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ও ‘আনারকলি’, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘বিচারপতি’, শফি বিক্রমপুরীর ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, নায়করাজ রাজ্জাকের ‘অভিযান’, আলমগীর কুমকুমের ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, এফ আই মানিকের ‘বিস্ফোরণ’, আজিজুর রহমানের ‘ফুলেশ্বরী’, সত্য সাহার ‘রাম রহিম জন’, মতিউর রহমান বাদলের ‘নাগিনা’, আলমগীর কবিরের ‘পরীণিতা’।

রাহাত//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়