ঢাকা     বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৪ ১৪৩১

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ৬ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৮:৫৩, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা প্রবীর মিত্র ওরফে হাসান ইমাম। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয় বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে।

আজ বাদ জোহর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রবীর মিত্রের প্রথম জানাজা। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসিতে উপস্থিত হয়েছিলেন তার সহকর্মীসহ নবীন-প্রবীণ চলচ্চিত্রকর্মীরা।

এফডিসিতে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন— চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী ও এফডিসির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আরো পড়ুন:

প্রবীর মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস), চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, ফিল্ম ক্লাবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন।

প্রবীর মিত্র দীর্ঘদিন ধরে শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবনে নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান প্রবীর মিত্র। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। মূলত, এ সিনেমায় কাজের ব্যাপারে তার বন্ধু এটিএম শামসুজ্জামানই তাকে সহযোগিতা করেছিলেন।

‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাবুক’-এর মতো সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে প্রবীর মিত্রকে। এ ছাড়া ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে ছিলেন তিনি। এ কারণেই অনেকে তাকে ঢাকাই সিনেমার ‘রঙিন নবাব’ বলে ডাকতেন।

তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো— জীবন তৃষ্ণা, সীমার, তীর ভাঙা ঢেউ, প্রতিজ্ঞা, অঙ্গার, পুত্রবধূ, নয়নের আলো, চাষীর মেয়ে, দুই পয়সার আলতা, আবদার, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ইত্যাদি।

কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। আর ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়