হাজার কোটি টাকার মালিক কমেডিয়ান আলী
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় কমেডিয়ান আলী। ১৯৭৯ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ২১টি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবেই কাজ করেন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান।
মূলত, তেলেগু ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেই খ্যাতি কুড়ান আলী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তেলেগু ছাড়াও তামিল, কন্নড়, হিন্দি ভাষার সিনেমায়ও অভিনয় করেন। জানা যায়, তার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা এক হজার ছাড়িয়েছে। অভিনয় গুণে যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল সম্পদেরও মালিক হয়েছেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার এই কমেডিয়ান।
‘ইয়ামালীলা’ সিনেমা আলীর ক্যারিয়ারে বড় ধরনের ব্রেক থ্রু। কারণ এ সিনেমার মাধ্যমে লিড চরিত্রে অভিনয়ের অভিষেক ঘটে তার। এটি ১৯৯৪ সালের ২৮ এপ্রিল মুক্তি পায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেন এস. ভি. কৃষ্ণা রেড্ডি। মুক্তির পর সিনেমাটি ব্যবসায়ীকভাবে দারুণ সফলতা লাভ করে। কেবল তাই নয়, সিনেমাটিতে কমিক চরিত্রে অভিনয় করে আলী প্রশংসাও কুড়ান। সেই সময়ে ‘সুরাজ’ চরিত্র রূপায়নের জন্য ৫০ হাজার রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন আলী। এখন একটি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রতিদিন ৩ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন এই অভিনেতা।
আলী একজন মেধাবী অভিনেতাই নন, বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীও। অভিনেতা সোবহান বাবুর অনুপ্রেরণায় অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই জমির ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন আলী। বিনিয়োগের এক বছরের মধ্যে মুনাফার মুখ দেখেন এই তারকা। আলী এখন ৭৫০ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি টাকার বেশি) মালিক।
আলী ব্যক্তিগত জীবনে জোবেদা সুলতানার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ১৯৯৪ সালে সংসারী হন আলী। তার স্ত্রী এখন ‘জোবেদা আলী’ নামেই অধিক পরিচিত। স্বামীর পরিচয়ের বাইরেও জোবেদা ইউটিউবার হিসেবে সফলতা পেয়েছেন। তার ইউটিউব চ্যানেলে অনুসারীর সংখ্যা ১.৬ মিলিয়ন। রান্না, ভ্রমণ এবং পারিবারিক জীবনের নানা মুহূর্তের ভিডিও এ মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন জোবেদা। আলী-জোবেদার সংসারে দুটো কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ৫৭ বছরের আলী তার পরিবার নিয়ে হায়দরাবাদের মনিকোন্ডায় বিলাসবহুল বাংলোতে বসবাস করেন।
পর্দায় আলীর উপস্থিতি দর্শকদের ভীষণ আনন্দ দেয়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘ইয়ামালীলা’, ‘পোকিরি’, ‘লাইগার’, ‘সুপার’, ‘ওকা লায়লা কসম’, ‘শিবামণি’, ‘জলসা’ প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র: সিয়াসাত, ফিল্মিবিট
ঢাকা/শান্ত