ক্যামেরার সুনিপুণ শিল্পী কবিরুল ইসলাম
কবিরুল ইসলাম
নির্মাতার নির্মাণে মুন্সিয়ানা, শিল্পীর অভিনয়ে শিল্পের ছাপ যতই থাকুক না কেন, ক্যামেরার ফ্রেমে নান্দনিকতা না থাকলে সবকিছু ভেস্তে যায়। ক্যামেরার নেপথ্যের সুনিপুণ কারিগরের যদি রুচি ও শিল্পবোধ না থাকে তাহলে লাইট, ক্যামেরা-অ্যাকশনের সবকিছুই বৃথা! গুণগত মানসম্পন্ন নাটক, সিনেমাসহ যেকোনো কনটেন্ট নির্মাণে একজন সিনেমাটোগ্রাফারের ভূমিকা সর্বাগ্রে বিবেচ্য।
শৈল্পিক অপারেটিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন সময়ের ব্যস্ত সিনেমাটোগ্রাফার কবিরুল ইসলাম। যার কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শুটিং স্পটে দৌড়াতে হচ্ছে তাকে। ব্যস্ততার কারণে অবসরকে ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন এই ডিওপি। নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, মিউজিক ভিডিওসহ সব ধরনের নির্মাণের সঙ্গেই যুক্ত আছেন। তবে কাজের ঝুলিতে নাটকের সংখ্যাই বেশি। চাহিদার নিরিখে প্রায় শতাধিক নাটকে ক্যামেরাশিল্পী হিসেবে নিজের কারিশমা দেখিয়েছেন কবিরুল ইসলাম।
তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত চলতি ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’, আরটিভিতে প্রচারিত ‘চিটার অ্যান্ড জেন্টলম্যান’, ‘অলসপুর’, ‘জামাই পাগল’, ‘ছায়াছবি’, ‘পরীণতি’, ‘বইপাগল’, ‘গোলমাল’, চ্যানেল আইয়ের চলতি ধারাবাহিক ‘দাদাজান’, ‘মধুমতি’, ‘কে বা আপন কে বা পর’, এনটিভিতে প্রচারিত ‘মেহমান’, বাংলাভিশনে প্রচারিত ‘লড়াই’, ‘দ্য নিউ হাতেম আলী’ প্রভৃতি।
হালের ব্যস্ত এই সিনেমাটোগ্রাফার বলেন, “ছোটবেলা থেকেই ছবি তুলতে ভীষণ পছন্দ করতাম। যেটা পেতাম সেটারই ছবি তুলতাম। আর এই ছবি তোলার নেশাটাই আমাকে ক্যামেরাম্যান বানিয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমে নিজের শিল্প ও রুচিবোধ তুলে ধরতে চাই। ফ্রেমে ফ্রেমে গল্প বলতে পছন্দ করি বলেই এত পেশা থাকতে একজন সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে নিজেকে এই পর্যন্ত এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। শিল্পের ভুবনে সফলতা ও ব্যর্থতার হিসাব না করে ক্যামেরাকে সঙ্গী করেই আমি আমার কাজটা করে যেতে চাই।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত