পারিবারিক সহিংসতার শিকার নির্মাতা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
স্বামীর সঙ্গে মালিহা, মিনহাজ (বাঁ থেকে)
শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বোন ও মায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন নাট্যনির্মাতা মিনহাজ। ফেনী থানায় এ ডায়েরি হয়েছে, যার নাম্বার ৪৮৫। পরে এ নির্মাতার বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী তাহমিদা। এসব তথ্য জানিয়েছেন পরিচালক মিনহাজ।
নাট্যনির্মাতা মিনহাজের অভিযোগ, গত বছরের ৩০ আগস্ট পারিবারিকভাবে তাহামিদার সঙ্গে আকদ হয় পরিচালক মিনহাজের। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রীকে ঘরে তুলেন তিনি। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে তাহামিদাকে মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মিনহাজের মা নাসিমা আক্তার ও বোন আফিয়া আঞ্জুম মালিহা।
নানা ঘটনার জের ধরে গত ৬ ডিসেম্বর রাতে তাহামিদার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর (মিনহাজ-তাহামিদা) ব্যক্তিগত চ্যাট পড়া শুরু করেন নাসিমা আক্তার ও আফিয়া আঞ্জুম মালিহা। তখন প্রতিবাদ করেন মিনহাজ। এতে রেগে গিয়ে মিনহাজকে গালাগাল করেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন তার মা ও বোন। দুজনের আক্রমণ থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাহামিদাকেও নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করেন তারা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিনহাজ জানান, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ওই রাতেই মিনহাজ ও তাহামিদা ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর ফেনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নম্বর ৪৮৫। সাধারণ ডায়েরির কথা শুনে পরেরদিন মিনহাজের বোন সকালে ঢাকায় ফিরেন। আর মিনহাজের মা নাসিমা আক্তার সমঝোতা স্বাক্ষর করে জিডি তুলে নেওয়ার চাপ দিতে থাকেন বলে জানান মিনহাজ।
একমাত্র ছেলে মিনহাজের বিরুদ্ধে তার মা নাসিমা আক্তার চাঁদাবাজি, স্বর্ণালংকার লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। এরপর ননদ মালিহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মিনহাজের স্ত্রী।
আত্মরক্ষায় জিডি করলেও মানবিক কারণে মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেননি মিনহাজ। এ বিষয়ে নাট্যনির্মাতা বলেন, “আজ কিংবা কাল মা তার ভুল বুঝতে পারবেন। তাই মায়ের বিরুদ্ধে কোনো আইনি লড়াইয়ে যাইনি।”
নাট্যনির্মাতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন মিনহাজ। ক্যারিয়ারে নির্মাণ করেছেন নাটক, মিউজিক ভিডিও ও বিজ্ঞাপন। ২০১৮ সালে জার্মান চলে যান চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর মাস্টার্স পড়তে। সম্প্রতি দেশে ফিরে তাহামিদাকে বিয়ে করেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত