রঙিন ফাগুনে প্রেমিকার ছবি প্রকাশ করলেন পঁচাত্তরের কবীর সুমন!
বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

কবীর সুমন
“বয়স হল তুচ্ছ সুতো,
ইচ্ছে করলে ডিঙোনো যায়।
বয়স যত বাড়ে তত ভালোবাসার চারাটিও
লকলকিয়ে আকাশ ছোঁয়, বৃক্ষ হয়।
বয়স যত বাড়ে,
শোনো, মানুষ তত প্রেমিক হয়।”
পঙক্তি কটি তসলিমা নাসরিনের ‘ভালোবাসার কোনো বয়স নেই’ কবিতা থেকে নেওয়া। এ কবিতার মতো বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঁচাত্তরেও সবুজ কলকাতার বরেণ্য সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। অতীতেও নিজেকে প্রেমিক পুরুষ হিসেবে নিজেকে বহুবার প্রমাণ করেছেন এই গায়ক। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকাকে সামনে এনে আরেকবার নিজেকে জানান দিলেন এই ‘গানওয়ালা’।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফাগুনের সকালে কবীর সুমন তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, সেলফি তুলছেন এক নারী। পেছনে দাঁড়িয়ে তার কাঁধে হাত রেখে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছেন কবীর সুমন। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “আমাদের ভালোবাসা দিবস।”
ছবিটি কবীর সুমন তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন
ছবির নারীটির নাম সৌমি বসু মল্লিক। কবীর সুমনের এ পোস্টের জবাবে তিনি লেখেন, “আমি তোমায় ভালোবাসি।” এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই যুগল। রাবেয়া খাতুন বিথী লেখেন, “অপূর্ব! ফাল্গুনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।” মিতালি লেখেন, “কী যে সুন্দর ছবিটা! ভালোবাসি... ভালোবাসি।” রিন্তি লেখেন, “কি সুন্দর! কি মিষ্টি! ফাল্গুনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
১৯৬৯ সালে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ভয়েস অব আমেরিকায় কাজ করার সময়ে ওপার বাংলার সোফিয়া নাজমা চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে কবীর সুমনের। ১০ বছর পর ভারতে ফিরে কলকাতায় সংসার বাঁধেন তারা। জানা যায়, নাজমাকে বিয়ে করার সময়ে ধর্মান্তরিত হন কবীর সুমন। পরে জার্মানিতে পাড়ি জমান এই দম্পতি। সেখানে যাওয়ার পর তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে।
সোফিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মারিয়া নামে এক নারীতে মজেন কবীর সুমন। তবে সেই বিয়েও সুখের হয়নি। নব্বই দশকের শেষে মারিয়া সুমনের বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। নতুন শতাব্দীতে নতুনভাবে শুরু করেন কবীর সুমন। মারিয়ার সঙ্গে ডিভোর্স মঞ্জুর হওয়ার আগেই বাংলাদেশের গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে এ সংসারও ভেঙে যায়।
১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ শিরোনামের গানের অ্যালবাম প্রকাশের পর শ্রোতাপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যান কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাকে দুই বাংলার শ্রোতারা সাদরে গ্রহণ করেন। একসময় স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন কবীর সুমন। ২০০৯ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে এই গায়কের।
ঢাকা/শান্ত