‘ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা এড়াতে পারব?’

গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তূপ, সিয়াম আহমেদ
“আমি যখন এই পোস্ট লিখছি ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কী মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটাকে, এই দেশটাকে বাঁচাতে? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারব?”— প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এভাবেই কথাগুলো ফেসবুকে লিখেছেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ফের ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। ওইদিন থেকে এখন পর্যন্ত দিনে গড়ে ১০০ শিশুকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ১২ ঘণ্টায় দখলদাররা খান ইউনিস এলাকা লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনিসের কয়েকটি আবাসিক ভবন ও অস্থায়ী তাবুতে হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন, সেখান থেকে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপে মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে গাজাবাসীর জন্য হৃদয় কাঁদছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ রবিবার বিকালে নিজের ফ্রি প্যালেস্টাইন স্যুটের একটি ছবি প্রকাশ করে লেখেন, “ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনো থামাতে পারিনি। যখন ‘জংলি’র গল্প লেখা হচ্ছিল তখনো পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরকেই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারব না? যখন যুদ্ধবিরতি চলছিল তখনো আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না। শুধু মনে হতো, এই বিরতি কতক্ষণের? কতক্ষণ এই মানুষগুলো বাঁচবে আসলে? এই যে ঈদের পরপরই তাদের ওপর নরক নেমে আসল, তার দায় কি এই পৃথিবী নেবে না?”
হতাশা প্রকাশ করে এই নায়ক লেখেন, “এই বিশ্ব লিডারস, ইসলামিক স্কলারস, নোবেল লরিয়েটস, সাধারণ মানুষ, আমরা কেউ কি এড়াতে পারব এর দায়? আল্লাহ, তুমি জান্নাতের দরজা খুলে দাও। এই পৃথিবী আর গাজাবাসীর জন্য নয়। আমরা পারিনি, আমরা পারলাম না।”
চিত্রনায়িকা তমা মির্জাও গাজায় ইসরায়েলি হামলার একটি ছবি প্রকাশ করে লেখেন, “এটা গোটা মুসলিম দেশের মুসলমানদের শাহাদতের চিত্র!” শোবিজের অনেক তারকা এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত