ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

শখ ও স্বপ্নে এগিয়ে যাচ্ছেন ঐশী

মুজাহিদ বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১২:৫৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শখ ও স্বপ্নে এগিয়ে যাচ্ছেন ঐশী

কথায় আছে, শখের তোলা লাখ টাকা! আর এই শখকেই উদ্যোগে পরিণত করেছেন ঐশী। অনলাইন ব্যবসায়ের মাধ্যমে নিজের শখের কাজকে পৌঁছে দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে। তার হাতে তৈরি গহনার জনপ্রিয়তা বাড়ছে ক্রমশই।

গায়ে হলুদের গহনাসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের শৌখিন সব গহনার এক বিশ্বস্ত নাম ‘শখ-Shokh by Jakia’।

এই নারী উদ্যোক্তার পুরো নাম শেখ জাকিয়া নূর ঐশী। চলচ্চিত্র পরিচালক শেখ জামাল ও হোসনে আরা রিনার দুই সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ঐশী। জন্ম ঢাকার ডেমরায়। পড়াশোনা করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। বর্তমানে তিনি অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

ছোটবেলা থেকেই তার ছিল ছবি আঁকা ও ক্রাফটিং এর প্রতি ব্যাপক ঝোঁক। শখের বশে করা নিজের এসব কাজকে অনলাইনে শেয়ার করার জন্যই মূলত ২০২০ সালের জানুয়ারি ঐশী একটি ফেইসবুক পেইজ খুলেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই ঐশী খেয়াল করেন, তার তৈরি গহনাগুলো মানুষ পছন্দ করছে এবং এর বেশ চাহিদাও আছে।

কাজটাকে ব্যবসায়িকভাবে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই নারী উদ্যোক্তা। মাত্র ১৫০০ টাকার কাঁচামাল নিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা।

ঐশী জানান, নারী হিসেবে তেমন কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাকে। বরং পরিবার ও বন্ধুমহল থেকে পাওয়া উৎসাহ ও সহযোগিতা তার পথকে আরও মসৃণ করেছে।

ব্যবসা কিংবা গয়না তৈরির কোন প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা তার ছিল না। শুধু ছিল কিছু একটা করে দেখানোর দৃঢ় মনোবল। ব্যবসা ও কাজ দুটোই তিনি করতে করতে শিখেছেন। হোঁচট খেতে খেতে উঠে দাঁড়িয়েছেন।

শিখেছেন কিভাবে ছবি তুলতে হয়, ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলতে হয়, মার্কেটিং করতে হয় ইত্যাদি। একা হাতে সামলেছেন সবটুকুই। করোনার লোকডাউনে যখন সবাই ঘরে বন্দি, ঐশী ভেবেছিলেন তার কাজও বোধহয় এবার থেমে যাবে। ঠিক তখনই নিউইয়র্ক থেকে একটি কাজের অর্ডার পান তিনি। আবার উদ্যোম ফিরে পায় তার ‘শখ’।

পুরো লোকডাউনের সময় কাজ করে যান তিনি। গহনার পাশাপাশি কাজ করছেন পেইন্টিং, জামদানী শাড়ি ও হাতে তৈরি বিভিন্ন শৌখিন জিনিস নিয়ে। ঐশী জানান, ভবিষ্যতে তার নিজস্ব একটি ক্লথিং ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে।

তিনি বলেন, অন্যরকম কিছু করার ইচ্ছা আমার বরাবরই ছিল। সামনে আরও ভালো কিছু করতে চাই। আমার কাজের মাধ্যমে মানুষ আমাকে চিনছে, জানছে এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমার পরিবার ও পরিচিতজনেরা সবসময়ই আমাকে আমার কাজের জন্য উৎসাহ দিয়েছে, সহযোগিতা করে গেছে। সবার প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

ঐশি বলেন, যারা নতুন করে কিছু করতে চায়, তাদের বলবো একটা উদ্যোগ শুরু করার জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ইচ্ছাশক্তি। তারপর ধৈর্য্য এবং প্রচুর ধৈর্য প্রয়োজন।

/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়