ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

সংসার সামলে উদ্যোক্তা প্রান্তি

হৃদয় তালুকদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংসার সামলে উদ্যোক্তা প্রান্তি

উদ্যোক্তা প্রান্তি ফালাক

প্রান্তি ফালাকের বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন পুরান ঢাকার কলতাবাজারে। স্বপ্ন ছিলো নিজের পায়ে দাঁড়াবেন। কিন্তু ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করার পর পরই বিয়ে হয়ে যায়। প্রান্তির স্বপ্ন এখানেই শেষ হতে পারতো। আট-দশজন নারীর মতো তিনিও শুধু সংসার সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারতেন কিন্তু তিনি তা চাননি। বরং সংসার, সন্তান সামলিয়ে শাশুড়িমা এবং স্বামীর সহযোগিতা নিয়ে হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। 

প্রান্তি ফালাক এখন ‘Eat'n garden by Falak's catering’ -এর স্বত্বাধিকারী। ২০২২ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরু হয়  ‘ইট’এন গার্ডেন বাই ফালাক’স ক্যাটারিং-এর। শুরুতে পরিচিতজনেরা এই ক্যাটারিংয়ের খাবার অর্ডার করতেন এরপর ধীরে ধীরে পরিচিতি ছড়িয়ে পরে এবং ক্রেতাসংখ্যা বাড়তে থাকে।

প্রান্তি রান্না শিখেছেন শাশুড়িমা কুলসুম ময়নার কাছে। এরপর রান্না বিষয়ক একটি কোর্স করেছেন। বাঙালি, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান খাবার রান্না করেন প্রান্তি। এমনকি সামাজিক অুনষ্ঠান,  গায়ে হলুদ, বিয়েতে খাবার সরবরাহ করেন। প্রান্তির কাছ থেকে খাবার নিতে হলে ১ বা ২দিন আগে অর্ডার করতে হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রান্তির Eat'n garden by Falak's catering নামে একটি পেইজ রয়েছে। এই পেইজের মাধ্যমে ক্রেতাদের অর্ডার গ্রহণ করেন তিনি। মেয়ের নাম ফালাক তাই সেই নামেই পেইজের নামকরণ করেন তিনি।পেইজটি খুলতে সহায়তা করেছিলেন প্রান্তির বান্ধবী মীম।

প্রান্তি ফালাক রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি সম্পূর্ণ টাটকা ফিশ, মিট, ভেজিটেবল আর মশলা দিয়ে রান্না করে থাকি। মাসের পর মাস ফ্রোজেন করা ফিশ, মিট দিয়ে রান্না করে দিলে প্রফিট আরও বেড়ে যেত ঠিকই কিন্তু মানুষের টাটকা ফ্রেশ খাবারটা দেওয়াকে আমি বেসিক এথিক্স মনে করি।’- আর্থিক সফলতা এসেছে, নিজের গুরুত্ব বেড়েছে এতে নিজেকে গর্বিত মনে করেন প্রান্তি।

তিনি বলেন, ‘গৃহিণী হওয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তা একটা আলাদা পরিচয়।যা সম্মানটা বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দেয়।’ 

সফলতার সঙ্গে থাকে ব্যর্থতার গল্পও। প্রান্তি ব্যবসা করতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হয়েছেন। তিনি জানান, কখনো এমন হয়েছে- কেউ তার খাবারের অর্ডার করে আর টাকা দেয়নি।

তবে সফলতার পাল্লায় বেশি ভারি। প্রান্তি বলেন, ‘একবার যারা খাবার নিয়েছে তারাই নিয়মিত কাস্টমার হয়ে যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভালো কিছু করতে  গেলে অনেকের অনেক কটু কথা শুনতে হয়। তাই আমি মনে করি  কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের যদি মনে হয় যে আমি যা করছি টা সঠিক তাহলে সেটাই করা উচিত। আমি আমার পেশাকে খুব সম্মান করি। ক্রেতাদের সব সময  হালাল ও টেস্টি খাবার সরবরাহের চেষ্টা করি।’

লিপি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়