ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রয়োগ হলে পরিবেশ উন্নত হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৫, ২২ আগস্ট ২০২৩  
‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রয়োগ হলে পরিবেশ উন্নত হবে’

ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০২ প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বায়ুদূষণ রোধ নির্দেশিকা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। বায়ুদূষণ রোধ হলে পরিবেশ উন্নতির পাশাপাশি রোগ ও মৃত্যু হ্রাস পাবে। বায়ুদূষণ বিধিমালা বাস্তবায়ন নিশ্চিতে দূষণকারীদের চিহ্নিত এবং আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স (বিইউএইচএস) এর ইব্রাহীম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সাইন্স (বিইউএইচএস), সেন্টার ফর ল’ অ্যান্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ), Open Sesame এবং Japan Fund for Global Environment (JFGE) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় বায়ুমান উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিইউএইচএসের ডিন প্রফেসর ডা. আনোয়ার হোসেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. ফরিদুল আলম, ভাইস চ্যান্সেলর, বিইউএইচএস। সভাটি সঞ্চালনা করেন ডা. তানজিনা আতিক।

প্রবন্ধ উপস্থাপক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ঢাকা একটি অসাধারণ সুন্দর নগর ছিল আর নগর করার সম্ভব। কিন্তু আমাদের দায়িত্বহীনতার কারণে এ নগর আজ দূষণের শিকার। ঢাকার বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ নির্মাণকাজ, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাট। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, বায়ুদূষণ রোধ নির্দেশিকায় দুষণকারীদের চিহ্নিত, নির্মাণকাজের হতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ, যানবাহনের ধোঁয়া হ্রাস, শিল্প স্থাপনা এবং ইটভাটার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হলে ঢাকার বায়দূষণ কমে আসবে।

বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি সভাপিত প্রফেসর গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ও এসডিজি অর্জন করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং সংশ্লিষ্ট আইন কার্যকর করতে হবে।

ঢাকা ইনটারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটি-ডিআইইউর সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান তরফদার বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সমগ্র দেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের মাধ্যমে বায়ুদূষণ হ্রাস করতে কাজ করতে হবে। 

ব্যারিষ্টার নিশাত মাহমুদ বলেন, বায়ুদূষণ সংক্রান্ত নাগরিকদের অধিকার আদায়ের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম করা প্রয়োজন।

পলাশ চন্দ্র বনিক বলেন নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। গৃহস্থালীতে বায়ুদূষণ বিষয়ে সচেতন করা অনেক বেশি জরুরি।

আইপিএইচআরসির নির্বাহী পরিচালক সুশান্ত সিনহা বলেন, বায়ুদূষণ রোধে মানুষের মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

সিএলপিএ রিসার্চ কনসালটেন্ট অধ্যাপক আ ফ ম সারোয়ার বলেন, আমরা যারা বেশিরভাগ সময় ঘরের ভেতরে থাকি, সে কারণে গৃহস্থালির বায়ুর মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

ওপেন সিসেমির সিও কেন কোজাই বলেন, জাপানে একসময় খুব বায়ুদূষণ ছিলো। কিন্তু জাপান সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও নানামুখী উদ্যগের কারণে বর্তমানে ভালো অবস্থা। বাংলাদেশ জাপানের এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে। 

বিইউএইচএস এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গবেষণামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে এবং প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। বাংলাদেশে যে আইন ও নীতিমালা বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। নিজেদের সচেতনতা সবার আগে প্রয়োজন, এক্ষেত্রে পাবলিক হেলথ একটিভিস্ট ও কমিউনিটির সম্পৃকতা বাড়াতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, সভাপতি, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি; সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সেক্রেটারি, সিএলপিএ, অধ্যাপক আ ফ ম সারোয়ার, রিসার্চ কনসালটেন্ট, সিএলপিএ; আমিনুল ইসলাম, কর্মসূচি প্রধান, সিএলপিএ; কেন কোজাই, সিইও, ওপেন সিসেমি, সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান তরফদার, ঢাকা ইনটারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটি, ডা. মিথিলা ফারুক, বিভাগীয় প্রধান এনসিডি, অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম, ভাইস চ্যান্সেলর, বিইউএইচএস, ডা. ফরিদুল আলম, ভাইস চ্যান্সেলর, বিইউএইচএস সহ বিইউএইচএস এর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষথীরাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

/পারভেজ/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়