ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডে দ. এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অধিক বরাদ্দের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২০:০৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডে দ. এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অধিক বরাদ্দের দাবি

কোনও প্রকার দূষণ না করেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালদ্বীপসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এবারের সম্মেলনে শুরু হওয়া ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ড থেকে দ. এশিয়ার দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মালদ্বীপের জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রী তরিক ইব্রাহিম।

দুবাইয়ে এক্সপো সিটিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের সপ্তম দিনে একটি সাইড লাইন ইভেন্টে তিনি এ দাবি জানান। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো তিনিও জলবায়ু সম্মেলনের সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। এর আগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ সমুদ্রের নিচে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক করে সারা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট'স ফোরামের সঙ্গে সম্মেলনে ব্লুজোনের ৩৩ নম্বর কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ মালদ্বীপের এই মন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু ন্যায্যতা আদায়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সংগঠনের সভাপতি আশিস গুপ্তার সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাটের সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, সহ-সভাপতি রাবনেওয়াজ চৌধুরী ও শ্রীরাম সুবেদী।

মালদ্বীপের মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক দ্বীপ বসবাসের উপযোগিতা হারিয়েছে। স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দ্বীপগুলো আলাদা আলাদা হওয়ায় এই সমস্যাগুলো আমরা সমাধান করতে পারছি না।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সামুদ্রিক কোরাল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঠিক তেমনি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পর্যটন শিল্প থেকে আমাদের ৩০ শতাংশ জিডিপি আসলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাট বলেন, হিমালয়ের বরফ গলে যেভাবে গলে যাচ্ছে তেমনি সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে অকাল বন্যা যেভাবে দেখা দিচ্ছে, তেমনি প্রতি বছর শুরু বাংলাদেশেই দুই লাখ মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে নগরাঞ্চলে দরিদ্র মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ধনী দেশগুলো নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ও প্রথমবারের মতো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা অপ্রতুল।

নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু ন্যায্যতা আদায়ে আলাদাভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে একটি জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সহ-সভাপতি রাবনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী।

এ সময় সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মাছুম বিল্লাহ, নির্বাহী সদস্য প্রগতি ধকল এবং মালদ্বীপের জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতমাহ উসরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, বিকেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়