ইউরো ফাইনাল: ইংল্যান্ড না ইতালি, কে এগিয়ে?
৫৩ বছরে প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপার দাবিদার ইতালি। ২০০০ ও ২০১২ সালের পরাজিত ফাইনালিস্ট ১৯৬৮ সালে রোমে যুগোস্লাভিয়াকে হারিয়ে শেষ ইউরো জিতেছিল। আর ইংল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে কখনও সেমিফাইনালের বাধা পেরোতে পারেনি। ১৯৬৬ সালের পর প্রথম কোনও বড় ট্রফির হাতছোঁয়া দূরত্বে থ্রি লায়নরা। ৫৫ বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ই ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের একমাত্র সাফল্য।
রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ইতালি পৌঁছায় ফাইনালে। আর ইংল্যান্ড হ্যারি কেইনের অতিরিক্ত সময়ের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ডেনমার্কের বিপক্ষে। শিরোপার লড়াইয়ে ইংলিশদের কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। ইতালি যে টানা ৩৪ ম্যাচ ধরে অপরাজিত।
তাছাড়া দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানও কথা বলছে ইতালির পক্ষে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইতালির সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় কেবল দুইবার জিতেছে ইংল্যান্ড। ১৯৯৭ সালের জুনে ২-০ গোলে, আর ২০১৩ সালের আগস্টে ২-১ গোলে- দুটিই ছিল প্রীতি ম্যাচ।
বড় টুর্নামেন্টে ইতালি কখনও ইংল্যান্ডের কাছে হারেনি। ১৯৮০ সালের ইউরোতে ১-০ গোলে জিতেছিল। ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তাদের জয় ২-১ গোলে। মাঝে ২০১২ সালের ইউরোতে গোলশূন্য স্কোর শেষে পেনাল্টিতে জিতেছিল আজ্জুরিরা।
ইতালি কোনও বড় টুর্নামেন্টে দশম ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। ইউরোপে কেবল তাদের চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছে জার্মানি (১৪)। ১৯৬৮ সালে ইউরো জয়ের পর ২০০০ ও ২০১২ সালের ফাইনালে হেরে যায় তারা। ১৩তম ভিন্ন দল হিসেবে ইউরোর ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমবার শিরোপার মঞ্চে ওঠা আগের ১২ দলের কেবল তিনটি দল হেরে গেছে। এই পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবে উজ্জীবিত রাখবে থ্রি লায়নদের।
ইতালি যতই এগিয়ে থাকুক না কেন, ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের অতীত পারফরম্যান্স। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে তারা আগের ১৭ ম্যাচের ১৫টিই জিতেছে। গোল করেছে ৪৬টি, খেয়েছে মাত্র পাঁচটি। আর এই আসরে সেমিফাইনালের আগে পর্যন্ত তাদের জালে কেউ বল জড়াতে পারেনি।
এই ম্যাচে ইতিহাস গড়ার হাতছানি কেইনের সামনে। আর একটি গোল করলে বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন তিনি। এখন গ্যারি লিনেকারের সঙ্গে এই আসনটি ভাগাভাগি করছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
ঢাকা/ফাহিম