ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

বইমেলায় আরমিনের ‘উত্তর-আধুনিকতা ও ফোকলোর’

ফাগুনের মলাট ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৩:০৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বইমেলায় আরমিনের ‘উত্তর-আধুনিকতা ও ফোকলোর’

তরুণ ফোকলোর গবেষক আরমিন হোসেনের চতুর্থ গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘উত্তর-আধুনিকতা ও ফোকলোর’ প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের অমর একুশে বইমেলায়। ফোকলোরের সঙ্গে তত্ত্বগত আলোচনা সমৃদ্ধ এ গবেষণাগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে।

আরমিন হোসেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ফোকলোরের বিভিন্ন বিষয়ে তার গ্রন্থ ও গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাগ্রন্থটিতে ফোকলোরের সঙ্গে উত্তর-আধুনিক কাঠামো নিয়ে লেখক বিস্তর আলোচনা করেছেন। বর্তমানে যেকোন বিদ্যায়তনিক শাখার গবেষণার ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ ভিন্ন মাত্রা সৃজন করেছে। উত্তর-আধুনিকতা প্রবণতার আলোকে ফোকলোরের তাত্ত্বিক ডিসকোর্স উপস্থাপন করা হয়েছে বর্তমান গ্রন্থটিতে। ফোকলোরকে আলোচনা করা হয়েছে উত্তরাধুনিকতার বিভিন্ন তাত্ত্বিক কাঠামো দিয়ে। ফোকলোরের রিসাইকেল, ফোকলোরের বহুত্ববাদসহ উত্তর-আধুনিকতার বিভিন্ন দশা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া আরবান ফোকলোর ও ডিজিটাল ফোকলোরকে উত্তর-আধুনিক তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণাগ্রন্থটিতে।

তরুণ গবেষক আরমিন হোসেন বলেন, উত্তর-আধুনিকতা গবেষকের নিরেট সত্য প্রতিষ্ঠার বিপরীত কিছুকে বোঝায়। অর্থাৎ সত্য আপেক্ষিক, বস্তুনিরপেক্ষ নয়। এটি যুক্তি প্রদানের মাধ্যমে সার্বিক বর্ণনা প্রদানের দিকে অগ্রসরমান। এই অগ্রসরতা প্রযুক্তির কথা যেমন বলে তেমনি ঐতিহ্যের কথাও বলে। সেদিক থেকে ফোকলোর যেমন ঐতিহ্যকেন্দ্রিক, তেমনি চলমান। চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিতে অর্থাৎ গ্রামের সঙ্গে ফোকলোর শব্দটিকে একচ্ছত্র করে না দেখে তত্ত্বালোকে ফোকলোরের প্রবণতাগুলোকে শনাক্তকরণের মাধ্যমে গবেষণা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, ঐতিহ্যে প্রথা, আচার, বিশ্বাস, উৎসব, প্রবাদসহ বিভিন্ন উপাদান, সেদিক থেকে নগরে উদ্ভব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যাশ্রিত ফোকলোর একই সঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে নাগরিক মননে। কখনো দীর্ঘসময় অতিক্রান্তের ফলে তা অবিকৃত থাকছেনা। কখনো-বা কিছু উপাদান একবারেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কখনো সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে রূপান্তরিত রুপ হিসেবে নগরে টিকে রয়েছে। গ্রন্থটি আমার প্রায় চার বছরের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি উত্তর-আধুনিকতা প্রবণতার আলোকে ফোকলোরের তাত্ত্বিক ডিসকোর্স উপস্থাপন করার।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের ইতিকথা পাবলিকেশন থেকে তরুণ এই ফোকলোর গবেষকের তৃতীয় গবেষনামূলক গ্রন্থ ‘পরিবেশ ফোকলোর’ প্রকাশিত হয়েছে। অন্য দু’টি গ্রন্থ হলো- ‘হিজড়া লোকগোষ্ঠীর পরিবর্তিত সমাজ কাঠামো: বিবাহকেন্দ্রিক কৃত্যানুষ্ঠান’ এবং ‘১৫০ বছরের ঐতিহ্যে গহনাপল্লী’।

/জিসান/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়