ঢাকা     বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৭ ১৪৩১

অনুমতি ছাড়াই ১৫টি গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রভাবশালী

আজিজুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১২, ১৮ মে ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অনুমতি ছাড়াই ১৫টি গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রভাবশালী

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দেড় শতাধিক বছরের এই তেঁতুল গাছটি কেটে ফলা হয়

জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জেলার কালাই উপজেলার মাত্রাই অলি মোস্তাফিজুর মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ ও মসজিদ সংস্কারের নামে সরকারি সম্পত্তির (খাস জমির) অন্তত ১৫টি গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন প্রভাবশালী এক ব্যাক্তি।

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তিনি তড়িঘড়ি করে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার গাছ ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার মাত্রাই গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাত্রাই অলি মোস্তাফিজুর মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ ও মসজিদ এলাকায় খাস সম্পত্তিতে বেশ কিছু গাছ রয়েছে। সেখান থেকে ১৫০-২০০ বছরের পুরানো তেঁতুল ও লাল পাকুরসহ ২০-২৫ বছরের রেইনট্রি, দেশীয় নিম, আম, শিমুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ১৫টি গাছ মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান অনুমতি ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মাত্র ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

তার দাবি, ওই জায়গাগুলো সর্ব শেষ রেকর্ডের সময় ওই সব প্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব নামে রেকর্ড করা হয়েছে। তাই ওই গাছগুলো এখন ঈদগাহ, মাজার এবং মসজিদেরই সম্পত্তি। গাছ কাটার আগে কমিটির রেজলুশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদাধিকার বলে সে গাছ কেটেছেন।

স্থানীয় অধিবাসী মাহবুব হাসান, আব্দুল হান্নান, আজিজুল হক, আবু রায়হান, আব্দুল কাদেরসহ অনেকের অভিযোগ, লুৎফর রহমান কাউকে না জানিয়েই এবং সরকারের কোন দফতর থেকে অনুমতি না নিয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ওই সব গাছ মাত্র ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী রব্বানীর কাছে।

রব্বানী ওই গাছগুলো ক্রয়ের পরের দিন শনিবার থেকে কাটতে শুরু করেছে। এদিকে এলাকার সচেতন মহল কাঠের গুলগুলো আটক দিয়ে ওই খাস জায়গাতে ফেলে রেখেছে।

স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী জালাল বলেন, সরকারি গাছগুলো বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। মাত্রাই মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি গাছ কেউ নিজেদের গাছ দাবি করে সরকারের অনুমতি ছাড়া কাটতে পারে না। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

মাত্রাই ইউপির চেয়ারম্যান শওকত হাবিব তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার জানামতে গাছগুলো সরকারি সম্পদ। এর মধ্যে কোন কোন গাছের বয়স ১৫০-২০০ বছর। সরকারের অনুমতি নিয়ে গাছ বিক্রি করে বা কেটে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন করলে আইনগত কোন জটিলতা থাকত না।


 

 

 


রাইজিংবিডি/১৮ মে ২০১৫/আজিজুর/নওশের

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়