ঢাকা     রোববার   ৩০ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৬ ১৪৩১

পুরনো ফুলদানিটি কেনার পর যা ঘটলো…

অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২৫ জুন ২০২৪   আপডেট: ১২:১১, ২৫ জুন ২০২৪
পুরনো ফুলদানিটি কেনার পর যা ঘটলো…

ছবি: প্রতীকী

থ্রিফটের বা সাশ্রয়ী মূল্যের দোকানগুলোতে মানুষ কম দামের জিনিস খুঁজতে যায়। পছন্দের জিনিস পেয়ে গেলে কম দামে কিনে নেওয়া যায় এসব দোকান থেকে। এসব দোকানে দুই, চার, পাঁচ বা দশ বছরের পুরনোও জিনিসও পাওয়া যায়। তাই বলে ২০০০ বছরের পুরনো জিনিস মিলবে এমনটা আশা করা কঠিন। কিন্তু এমন ঘটনাও কখনো কখনো ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির একটি থ্রিফটের দোকান থেকে মাত্র ৩ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার দিয়ে পুরনো একটি ফুলদানি কিনেছিলেন ডোজিয়ার নামের এক নারী। তিনি ভেবেছিলেন এটি হয়তো বিশ বছরের পুরনো হবে। পুরনো জিনিস সংগ্রহ করে নিজে ঘর সাজানোর অনুসঙ্গ হিসেবে এটি এনেছিলেন। এই নারী চাকরির সুবাদে মেক্সিকোতে যান এবং সেখানের জাদুঘর ঘুরে দেখেন। জাদুঘরে গিয়ে তিনি চমকে যান। তার কারণ মেক্সিকোর জাদুঘরে মায়ান সভ্যতার যেসব নিদর্শন সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে মাটির ফুলদানিও আছে। আর সেগুলো দেখতে ডোজিয়ার ফুলদানির মতোই।

দেশে ফিরে মেক্সিকোর দূতাবাসে যোগাযোগ করেন ডোজিয়ার। ফুলদানিটির কথা তাদের জানান। এরপরে দূতাবাসের পক্ষে ডোজিয়ারের সেই ফুলদানির ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রির একজন কর্মকর্তা জানান, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ওই শিল্পকর্মটি মায়ান সভ্যতার। যা খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সাল থেকে ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আদিবাসী নারীদের তৈরি করা হতে পারে।

এরপরে তারা ফুলদানিটি মেক্সিকোতে ফিরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডোজিয়ারও চান ফুলদানিটি তার দেশে ফিরে যাক। এবং যথাযথ স্থানে সংরক্ষিত হোক।

/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়