ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৩ ১৪৩১

ছোট দ্বীপের বৃদ্ধ পিয়ন, কাদায় হেঁটে চিঠি বিলি করেন

অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ৫ জানুয়ারি ২০২৫  
ছোট দ্বীপের বৃদ্ধ পিয়ন, কাদায় হেঁটে চিঠি বিলি করেন

পথ চলছেন ক্নুড ক্নুডসেন

তার নাম ক্নুড ক্নুডসেন। তিনি উত্তর সাগরে অবস্থিত জার্মানির পেলভর্ম দ্বীপের অধিবাসী। পেশায় পিয়ন। পোস্ট অফিসটি তার বাড়িতেই অবস্থিত। ৬৯ বছর বসয়ী ক্নুড ক্নুডসেনের জীবন জোয়ার-ভাটার সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে চলে। ভাবছেন কীভাবে?

ক্নুড ক্নুডসেন সাগর পাড়ি দিয়ে পায়ে হেঁটে পত্র বিলি করেন। এজন্য তিনি সমুদ্রের ভাটার জন্য অপেক্ষা করেন। কারণ পানি না কমলে দ্বীপে যাওয়ার রাস্তাটি পানিতে ডুবে থাকে। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে তিনি জোয়ার ভাটার খোঁজ নেন। জার্মান ডাক বিভাগের এই কর্মী ছোট দ্বীপ স্যুডেরুগ-এ চিঠি বিলি করেন। অনেক সময় তার সঙ্গে পর্যটকেরা যোগ দেন। পেলভর্ম থেকে কাদামাটির পথে ছোট দ্বীপ স্যুডেরুগে নিয়ে যান ক্নুড।প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয়। 

তার চলার পথটি কাদায় পরিপূর্ণ। প্রায় ১০ হাজার জাতের গাছ ও প্রাণীর আবাসস্থল সেই পথ। সেসব উদ্ভিদ ও প্রাণী ক্নুডের বেশ পছন্দ। তাই ২৫ বছর আগে তিনি ওই অঞ্চলের চিঠি বাহকের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন তিনি হাসি মুখে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্নুডের কোনো গাড়ি নেই। তিনি বলেন, ‘‘ আমার কোনো গাড়ি নেই , তাই গাড়ির শব্দও নেই। যখন গাড়ির শব্দ থাকে না তখন আপনি পাখির গান শুনতে পাবেন।’’

স্যুডেরুগ দ্বীপে একমাত্র খামার বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে কয়েকটি ভেড়া আর চার সদস্যের একটি পরিবার বসবাস করে। ওই পরিবারে স্বামী, স্ত্রী আর তাদের দুই সন্তান রয়েছে। সপ্তাহে তিনদিন ক্নুডও ওই পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠেন। অনেকটা পার্ট-টাইম দাদার মতো।ক্নুডের কোনো সন্তান নেই। খামার বাড়ির ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে তিনি খুব ভালোবাসেন।

বাড়ির সদস্য কৃষক নেলে ভ্রি বলেন, ‘‘ক্নুড আমাদের কাছে পরিবারের মতন। যখনই আমরা কিছু করি, যেমন বাচ্চাদের জন্মদিন পালন করি, ক্নুডও সেখানে থাকেন। ক্রিসমাস ও অন্যান্য ছুটির সময়ও।’’

কয়েক দশক আগে স্যুডেরুগ রক্ষার জন্য যখন বাঁধ তৈরি করা হচ্ছিল তখন কাজ করেছিলেন ক্নুড। তখনই তিনি এই দ্বীপের প্রেমে পড়েছিলেন। এই দ্বীপ বাঁচাতে চান ক্নুড।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

ঢাকা/লিপি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়