ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম

শিপন নাথ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ২১ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম

আমার বাবা কোনো সেলিব্রেটি বাবা নয়। আমার বাবা পৃথিবীর সেরা বাবাও নয়! আমার বাবা আর আট-দশটা বাবার মতোই সাধারণ এক বাবা। অসাধারণ এক লালনকর্তা, পালনকর্তা এবং প্রয়োজনে নিরব যোগানদাতা। আসলে সব বাবাই এক শীতল ছায়াদায়ী বৃক্ষ। বৃক্ষ যেমন ছায়া দেয়, ফল দেয়, জ্বালানি দেয়, কাঠ দেয়, দেয় বাঁচার জন্য অক্সিজেন; ঠিক তেমনই বাবাও দেন ছায়া, দেন প্রয়োজনের ফল-জ্বালানি-কাঠের যোগান। দেন সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচার, আত্মপরিচয়ের অক্সিজেন। আমার বাবা এক শীতল ছায়াদায়ী বৃক্ষ। আমার বাবা বিশেষ কিছু নয়, বরং বাবা মাত্রই বিশেষায়িত। সন্তানসুলভ পক্ষপাতে আমার বাবাকে পৃথিবীর সেরা বাবা বানিয়ে দেওয়াটা সহজ এবং যৌক্তিক। এতটুকু যোগ্যতা তিনি ধারণ করেন। কিন্তু এতে শুধু ব্যক্তি বাবাকেই উঁচিয়ে ধরা হবে! নিচু করা হবে বাবা নামটিকে। কারণ, বাবামাত্রই সেরা, সেটা আমার বাবা হোক কিংবা অন্যের। কথায় বলে, ‘একজন বাবা তার সন্তানের জন্য কতভাবে অবদান রেখে যান, তার চুলচেরা হিসাব কেউ কোনোদিন বের করতে পারবে না।’

আসলেই তাই। বাবার অবদান অনস্বীকার্য। বাবার ঋণ অপরিশোধযোগ্য। যদিও আমার বাবা পৃথিবীর সেরা বাবা নয়। তবে আমার বাবাই আমার পৃথিবী। আমার বাবা, আমার হিরো। আমার অনুপ্রেরণার আশ্রয়স্থল। এ উদ্দাম গতিময়তার যুগে তিনি শুধু লালনকর্তা, পালনকর্তা এবং প্রয়োজনের যোগানদাতাই নয়, বরং আরো বড় কিছু। ছোটবেলা থেকেই সকল হিরোকে চোখ এরিয়ে আমি তাকে দেখেছি, যে কি না আমার দেখা সবচেয়ে পরিশ্রমী, সৎ, সত্যবান চমৎকার এবং চরিত্রবান মানুষ। পরিবারের বিপদে যে কি না সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যার ধারাবাহিকতায় পরিবারের সকলেই একসূত্রে বাঁধা থাকে। আমি গর্বিত তার মতো হবার চেষ্টা করতে পেরে, আমি গর্বিত তার সন্তান হতে পেরে। সম্ভবত বাবাকে নিয়ে করা এ গর্বটা সব সন্তানেরই অধিকার।

আমার বাবা রনজিৎ চন্দ্র নাথ। পেশায় চাকরিজীবী। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। পত্রিকায় মাঝেমধ্যে কলাম লিখেন। আমি তার সন্তান হিসেবে গর্বিত। তাকে দেখে আমিও জাতীয়, আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংগঠনের সাথে যুক্ত। তার দেখাদেখি আমিও স্কুলজীবন থেকে লেখালেখি করে আজ একটি উপন্যাসসহ কয়েকটি গল্প/কবিতা লিখে লেখক হয়েছি। সাহিত্যপাড়ায় নাম কামিয়েছি। শুধুমাত্র বাবার করা কাজকর্ম দেখেই ক্ষান্ত নই আমি। তাকে অনুকরণ অথবা অনুসরণ দুটোই করে আসছি বরাবরের মতই। বাবার সাথে যখন আমার কোনো কথা নিয়ে মতবিরোধ হয়, তখন খুব ভালো করেই জানি, বাবা আমার ওপর খুব রাগ করেছে, রাগ ভাঙাতে হবে। ছোটবেলায় বাবা রাগ করলে বলতেন, ‘একটা চুমু দে। তাহলে রাতে অফিস থেকে আসার সময় কিছু নিয়ে আসব।’ ব্যাস! আমি আর বিন্দুমাত্র অপেক্ষা না করে বাবার কাছে গিয়ে বাবার কপালে চুমু দিতাম। কিন্তু এখন আমার পরিপোক্ত বয়স হয়েছে। বয়সের সাথে বেড়েছে মনের সংকোচ। তাই এখন আর ছোটবেলার মত বাবাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিতে পারি না। তবে বাবা রাগ করলে ভীষণভাবে বলতে ইচ্ছে করে, ‘বাবা তুমি রাগ করো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবা। প্রচণ্ড ভালোবাসি।’

'আচ্ছা, বাবার কাঁধটা কি অন্য সবার চেয়ে বেশি চওড়া? তা না হলে কি করে সমাজ-সংসারের এত দায়ভার অবলীলায় একাই বয়ে বেড়ান বাবা। কী করে সম্ভব! বাবার পা কি অন্য সবার চেয়ে অনেক দ্রুত চলে? নইলে এতটা পথ এত অল্প সময়ে কী করে এত শক্ত করে সবকিছু আগলে রাখেন বাবা! মাঝে মাঝে ভাবি, আমি কি পারব আমার বাবার মতো সৎ, সত্যবান, চরিত্রবান হতে? আমি কি পারব আমার বাবার মতো বাবা হতে? প্রবাদ আছে যে, ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।’

আমার মাঝে যে এক শিশুর পিতা ঘুমিয়ে আছে, সে কি পারবে তার বাবার মত সৎ, সত্যবান, নিষ্ঠাবান হতে! বাবার সাথে ছোটবেলায় হাত ধরে অনেক হেঁটেছি। কর্মব্যস্ততার মাঝে বাবা আমাকে আমার ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হাঁটতে শিখিয়েছেন। আমার চোখে সমস্যা। বাবা আমাকে চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান। মেইন রোড থেকে হাসপাতালটার দূরত্ব বেশ। বাবা আমাকে বললেন রিকশা নিতে। আমি বাবাকে বললাম হেঁটে হেঁটে যাই। কথা বলতে বলতে পৌঁছে যাব। বাবা বললেন,‘তাহলে তো ভালোই। হাঁট! হাঁট! শরীরের জন্য ভালো।’ অথচ, আমি সেদিন ইচ্ছে করেই রিকশার জন্য না করেছিলাম। কারণ, বাবার সাথে হেঁটে যাওয়ার সৌভাগ্য সব সময় হয়ে ওঠে না। সুযোগ যখন পেয়েছি তখন ছেড়ে দেওয়াটা বোকামি হবে। তাই বাবাকে নিয়ে হেঁটে হেঁটে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কারণ ওই একটাই। বাবাকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসি। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমার জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছিল। আমার প্রথম উপন্যাস ‘আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ’ প্রকাশিত হয়েছে বইমেলায়। আমি যার পর নাই খুশি। আমার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন আমার বাবা। বইমেলায় দাঁড়িয়ে যখন অন্যজনকে আমার বইয়ের ভূমিকা বলছিলেন, তখন আমি বাবার মুখের হাসি প্রত্যক্ষ করেছি। হাসি বললে ভুল হবে। আমার চোখে বাবার হাসি মানেই স্বর্গের পারিজাত পুষ্প। সেই পুষ্পের প্রস্ফূটন লক্ষ করেছি। বইমেলায় বাবার সাথে হেঁটে হেঁটে মেলা ঘুরেছি। বই দেখেছি। নিঃসন্দেহে এটা আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার।

বাবা শুধু একজন মানুষ নন, স্রেফ একটি সম্পর্কের নাম নয়। বাবার মাঝে জড়িয়ে আছে বিশালত্বের এক অদ্ভুত মায়াবী প্রকাশ। বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো বয়সী সন্তানের হৃদয়ে শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার এক অনুভব জাগে। মানুষটি কতভাবে অবদান রেখে যান সন্তানের জন্য, যার চুলচেরা হিসাব করে কেউ বের করতে পারবেন না। আর বাবার ছায়া? সেটাও শেষ বিকেলের বটগাছের ছায়ার চাইতেও বড়। বড় যদি না হবে তবে জীবনের এতো উত্তাপ থেকে কী করে সন্তানকে সামলে রাখেন বাবা। আর বাবার চোখ? সেটাও কি দেখতে পায় কল্পনার অতীত কোনো দূরত্ব। তা না হলে কী করে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনায় শঙ্কিত হন বাবা। সত্যি বলতে কি! বাবাকে নিয়ে আমরা কেউই এমন করে কখনো ভাবি না। শুধু আমাদের বাবা, শত সাধারণের মাঝেও অসাধারণ হয়ে ওঠা আমাদের জনক, আমাদের অকাতরে ভালোবেসে যান তার সামর্থ্যের শেষ বিন্দুটুকু দিয়ে। উজাড় করে দেন তার সবকিছুই শুধু তার সন্তানের জন্য। তার যা কিছু আছে নিজের জন্য আর অবশিষ্ট রাখেন না কোনোভাবেই। সবকিছু উজাড় করে দেওয়ার পরও তাকে কোনোভাবে নিঃস্ব বলে মনে হয় না। মনে হয়, তিনি যেন পরম তৃপ্তিতে আরো পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। বরং শ্রমে, ঘামে, স্নেহে সন্তানকে তিলে তিলে বড় করে তুলতে সচেষ্ট বাবা মহান সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যেও ফরিয়াদ জানান তার সন্তানের মঙ্গলের জন্য। আর বাবার সেই আহ্বান হয়তো গর্বিত করে তোলে অন্তর্যামীকেও।

সত্যি বলতে বাবার ছায়া শেষ বিকেলের বটগাছের ছায়ার চাইতেও বড়। বাবা তার সন্তানকে জীবনের সব উত্তাপ থেকে সামলে রাখেন। এটাই পরম বাস্তব কথা। সন্তান যত বড়ই হোক না কেন তার অভিমান আর অবহেলার পরিমাণ যত বিশালই হোক, বাবার স্নেহ সবসময় তার জন্য এক পরম আশ্রয়। বেঁচে থাকার আনন্দে, কষ্টের তীব্রতায়, কঠিন সমস্যায় বাবাই হয়ে ওঠেন বিপদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু বা সহায়। অন্যদিকে, সন্তানদেরও ভাবতে হবে বাবার কথা। তার আবেগ, অনুভূতি আর পরিণত বয়সের চাওয়া-পাওয়াগুলোর দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। যে বয়সে স্কুল-কলেজে নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময়গুলো বেশ জমে উঠেছে সে সময়টাতে ভুলে যাওয়া চলবে না পুরনো বন্ধুকে। বরং পুরনো দিনের কথা মনে রেখে নিজের জীবনের এই খোলস ছাড়াবার মুহূর্তে যদি বাবাকেও সঙ্গী হিসেবে নেওয়া যায়, তাহলে বরং চেনা বন্ধুরাও নতুন রঙে রঙিন হয়ে ওঠে।

বাবার জন্য সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন নেই। সীমাবদ্ধ বলয়ে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাকে আবদ্ধ করা সম্ভব নয়। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার অবিরাম ধারা বয়ে চলে বছরের প্রতিটি দিন। জীবনের ঘানি টানতে টানতে বাবা এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন, বয়সের ভারে নুয়ে পরেন, বার্ধক্য তাকে গ্রাস করে। তখন তিনি হয়ে পড়েন অনেকটা অসহায়, দুর্বল। রোগব্যাধি তাকে আরো বিপর্যস্ত করে তোলে। এ সময় বাবা চান, সন্তান যেন তার পাশে থাকে। সন্তানের কাছ থেকে অবহেলা কিংবা দুর্ব্যবহার পেলে বাবার হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

আমরা জানি, প্রতিবছর জুনের তৃতীয় রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালিত হয়। আমাদের দেশেও আজকাল বেশ ঘটা করেই বাবা দিবস পালিত হয়ে থাকে। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। যদিও বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের প্রয়োজন হয় না। তারপরও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে এখন বাবা দিবস পালন করা হয়। তাই বলে এ ধরনের দিবসগুলো যে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় তা কিন্তু বলা যাবে না। সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসা সীমাহীন। নিজের সন্তানের জন্য মোগল সম্রাট বাবরের ভালোবাসার উদাহরণ ইতিহাস হয়ে আছে। আবার ঠিক তেমনই বাবার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার জন্য অযোধ্যা অধিপতি শ্রীরামচন্দ্র ১৪ বছরের জন্য বনবাসে গিয়েছিলেন। এমন স্বার্থহীন যার ভালোবাসা, সেই বাবাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক
কিছুই ত্যাগ করতে হয়। বাবা দিবসের প্রাক্কালে সন্তানের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে অন্তরের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা জানানোর। আমাদের সবার উচিত বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। তারা বৃদ্ধ বয়সে যাতে কোনোভাবে অবহেলার শিকার না হন, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। অনেক সন্তান রয়েছে, যারা মা-বাবার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে বাবা-মায়ের প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক বন্ধনকে আরও অনেক সুদৃঢ় করতে বাবা দিবসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের পারিবারিক জীবনে এবং সমাজে বাবার যে গুরুত্ব তা আলাদাভাবে তুলে ধরতেই বাবা দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। আমার এখনো মনে আছে, সেই ২০১৮ সালে বাবা দিবস উপলক্ষে বাবাকে নিজের জমানো টাকা দিয়ে একটি ঝর্ণা কলম উপহার দিয়েছিলাম। আমার বাবা বেশ গম্ভীর স্বভাবের। তিনি আমাকে ‘থ্যাংকস’ বলে মুখে হাসি ফোটালেন। অথচ, আমি জানি, তিনি মুখে প্রকাশ না করলেও মনে মনে ঠিক কতটা আনন্দিত এবং খুশি হয়েছিলেন। হ্যাঁ। বাবার হাসিটাই আমার প্রাপ্য। আমার অনুপ্রেরণা। আমার শক্তি।

বাবার চোখ দেখতে পায় কল্পনার অতীত কোন দূরত্ব। তাই তিনি সব সময় শঙ্কিত থাকেন সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। গ্রিক কবি হোমার বলেছিলেন,‘সেই জ্ঞানী বাবা যে তার সন্তানকে জানেন।’

যাদের বাবা রয়েছেন কাছে কিংবা দূরে তাদেরকে বাবা দিবসের প্রাক্কালে বিশেষভাবে সম্মান জানানো হলে তারা নিশ্চয়ই খুশি হবেন। আর যাদের বাবা নেই, এর মধ্যেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের স্মরণ করুন শ্রদ্ধাভরে, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশেষভাবে প্রার্থনা করুন। এ কথা সবাইকে অবশ্যই মানতে হবে, মানবজীবনে বাবার অবদান এবং গুরুত্ব অপরিসীম। পরিশেষে এটাই বলব, ‘যদি কখনো মনে জাগে কোনো নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা, বাবা নামের এক মানুষ আছেন, তিনিই বড় যোদ্ধা।’

আমার বাবা রনজিৎ চন্দ্র নাথ শুধু একজন বাবা নন। তিনি আমার শক্তি। আমার সাহস। আমার অনুপ্রেরণা। হয়তো কখনো মুখ ফুটে বাবাকে বলা হয়নি। তবুও বলি, বাবা তোমাকে ভালোবাসি। একটু নয়। আকাশ সমান ভালোবাসি।

লেখক: সাংবাদিক, চট্টগ্রাম থেকে

 

ঢাকা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়