ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাঁধভাঙা আশ্বাসে শুধুই দীর্ঘশ্বাস

রফিকুল ইসলাম মন্টু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ১০ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ০৭:২৫, ২৭ আগস্ট ২০২০
বাঁধভাঙা আশ্বাসে শুধুই দীর্ঘশ্বাস

নাজুক বেড়িবাঁধ এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়। গাবুরার ছবি

বড় ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষের জীবনে নেমে আসে দীর্ঘমেয়াদি এক ঘূর্ণিচক্র। প্রথমে তারা হাবুডুবু খান জলোচ্ছ্বাসের পানিতে। এরপর রাজধানী থেকে ছুটে আসেন মন্ত্রী-এমপি-কর্তাব্যক্তিরা; ঘুরেফিরে দেখে ফেরার সময় দিয়ে যান গালভরা আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি। দুর্গতরা নতুন আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষায় থাকেন। অন্যদিকে কর্তাব্যক্তিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রকল্প-খেলায়।

দুর্গতদের জন্য যেটা জরুরি, অনেক সময় সেটা চাপা পড়ে থাকে ফাইলের স্তূপের নিচে, আর যেটায় অসাধুদের স্বার্থ জড়িত, সেটা উঠে আসে ওপরে। দুর্গতরা আগের মতোই থেকে যান নিরাশার অন্ধকারে। এরপরও তাদের জন্য ছিটেফোঁটা বরাদ্দের যে কাজটুকু আসে, তা নিয়ে শুরু হয় দুর্নীতি-অনিয়ম-লুটপাটের প্রতিযোগিতা। এভাবে ফিরে আসে আরেক দুর্যোগের আঘাত। পুনরায় শুরু হয় সেই ঘূর্ণিচক্র।

গত জুন মাসে পশ্চিম উপকূলে টানা ৯ দিনের অনুসন্ধানে সন্ধান মেলে দুর্যোগ-প্রতিশ্রুতি-প্রকল্প আর বাস্তবায়নের এই ঘূর্ণিচক্রের।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর পরে প্রতিশ্রুতি

২০১৯-এর ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ব্যাপক ঝুঁকির মুখে পড়েছিল দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা। খবর শুনে পরের দিনই ওই এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। দুজনেই এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। পরিদর্শন শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় দুই সপ্তাহের মধ্যে গাবুরায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং আরও ৪০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের ঘোষণা দেন। একই স্থানে দাঁড়িয়ে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ‘আমরা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বেড়িবাঁধটির সংস্কার কাজ শুরু হবে। যেসব জায়গায় সমস্যা আছে সেগুলো মেরামত করা হবে এবং বাঁধটি উঁচু করা হবে।’

বেড়িবাঁধ ধ্বসে যাওয়ার পর দেওয়া হয় এই ধরনের রিংবাঁধ। কয়রার কাশির হাটখোলার ছবি

মন্ত্রীদ্বয়ের এই আশ্বাসের জের ধরে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা আরও কয়েকবার এলাকা পরিদর্শন করেন। নানা ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এরপর বছর ঘুরে বছর আসে, এলাকার মানুষ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে পান না। এরই মধ্যে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। 

আম্পানের পরে প্রতিশ্রুতি

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ ফারুক আম্পানবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ঝড়ের তিনদিন পর। তিনি স্পিডবোটে বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে সেই গাবুরায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, উপকূলীয় ৭টি পোল্ডার আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার করা হবে। পরিকল্পিত উপায়ে টেকসইভাবে বেড়িবাঁধ দেওয়া হবে। কিছু বাঁধ নতুন করে নির্মাণ করার পাশাপাশি সংস্কার কাজও অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, বর্তমান সরকার সুন্দরবন উপকূলীয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭টি পোল্ডারের আওয়াধীন বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১২ হাজার ৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

ওদিকে আম্পানে ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ টেনে ঢাকায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম সে সময় বলেছিলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে এখন থেকে বেড়িবাঁধগুলো উঁচু করার পাশাপাশি গাছও লাগানো হবে। একইসঙ্গে ডুবোচরগুলো ড্রেজিং করা হবে, যাতে বাঁধগুলো টেকসই হয় এবং পানির ফ্লো অব্যাহত থাকে।’

এ প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সঙ্গে। ‘ফণীর পরে ওই এলাকায় আপনি এবং দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী গিয়েছিলেন। আপনি বলেছেন, সব বাঁধ সংস্কার করা হবে; আর দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলে এসেছেন- নতুন বাঁধ তৈরি করা হবে। আসলে কোনটা হবে?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে উপমন্ত্রী বলেন, ‘উনি দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী, উনি কোথায় কী বলছেন, সেটা বিষয় নয়। নতুন করে বাঁধ বানানোর তো সুযোগই নেই। আমাদের যে বেড়িবাঁধ আছে, সেটাই আমরা শক্ত করবো। উঁচু করবো। প্রশস্ত করবো।’ 

কপোতাক্ষ নদের তীরে বেড়িবাঁধ, ঠিক জমির আইলের মতো। কয়রার গোবরা ঘাটাখালী গ্রামের ছবি

কান পাতলেই নিরাশার সুর

‘এটা হবে, ওটা হবে- কত কিছুই তো শুনলাম। হলো না কিছুই! এই জীবনে কতবার যে জলে ভাসলাম, ডুবলাম, সিডর-আইলা গেল, আরও কতো ঝড় গেল, আম্পানের ঝড়েও তো বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকলো। কেউ তো কিছুই করলো না!’ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন তহমিনা বেগম। ছোট চন্ডিপুরে দিনমজুর শাহজাহানের বাড়িতে কথা হচ্ছিল তার সঙ্গে। ৬৫ বছর বয়সী তহমিনা বেগম স্মৃতি হাতড়ে জানালেন, আইলার পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো এক উপদেষ্টা এসেছিলেন। উপদেষ্টার জাহাজ ভিড়েছিল পাতাখালী ঘাটে। তহমিনা সেখানে গিয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সুবাদে ঢাকায় কোনো এক অনুষ্ঠানেও যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর।

স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রতিশ্রুতির কথা শুনতে শুনতে তাদের কান পচার দশা! কিছু হলেই কর্তারা ছুটে এসে প্রতিশ্রুতি দেন। পরিদর্শন হয় বারবার। মাপা হয় বেড়িবাঁধ। তথ্য সংগ্রহ হয়। কিন্তু কাজটাই শুধু হয় না। গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বললেন, ‘যদি কিছু না-ই করবেন, তাহলে তেল খরচ করে আসেন কেন এখানে? মানুষকে কেন প্রতিশ্রুতি দেন?’ একই প্রশ্নবাণ ছোড়েন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল।

সক্রিয়তা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে

ঘূর্ণিঝড় আইলার ১৪ মাস পরে ২০১০ সালের ২৩ জুলাই শ্যামনগর ও কয়রা এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শন শেষে ওইদিন তিনি শ্যামনগর নকিপুর হরিচরণ পাইলট হাই স্কুল মাঠের জনসভায় এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি বেড়িবাঁধের সমস্যা নিয়েও কথা বলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধগুলো মজবুত ও শক্তিশালী করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। বেড়িবাঁধ ইস্যুর বাইরেও তিনি অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। সাতক্ষীরায় আধুনিক মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কথাও বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ওই সফরের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল এতটাই তৎপর হন যে, সাতক্ষীরায় মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে প্রায় সব প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হয়েছে। শুধু শক্ত ও টেকসই বেড়িবাঁধটাই এখনো ঝুলে আছে।

বেড়িবাঁধের নাজুক অবস্থা জীবনে নিয়ে আসে সংকট। গাবুরার লেবুবুনিয়া গ্রামের ছবি

প্রকল্পের পর প্রকল্প, বাস্তবায়নের খবর নেই

ঘূর্ণিঝড় সিডর কিংবা আইলার পরে পশ্চিম উপকূলে শক্ত ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। তবে অনেক প্রকল্প তৈরি হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের পর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কষে সাতক্ষীরা পাউবো (বিভাগ-১) থেকে ‘পোল্ডার নং ৩, ৫, ১৫ পুনর্বাসন প্রকল্প’ দাখিল করা হয়। একই সময়ে সাতক্ষীরা পাউবো (বিভাগ-২) থেকেও পৃথক প্রকল্প দেওয়া হয়। দুটো প্রকল্প দাখিলের পর উপর মহল থেকে সিদ্ধান্ত আসে, একই জেলার প্রকল্প দুটো একত্রিত করে দেওয়া হোক। সে অনুযায়ী দুটি প্রকল্প একীভূত করে দেখা যায়, এর বাজেট দাঁড়ায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্প দাখিলের পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এলাকা পরিদর্শন করা হয়। তখন আবার সিদ্ধান্ত বদলে বলা হয়, একসঙ্গে ১১ হাজার কোটি টাকা দিতে গেলে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বিভিন্ন ধরনের স্টাডির প্রয়োজন পড়বে। আরও ২-৩ বছর সময় চলে যাবে, যেটা এলাকাবাসীর জন্য খারাপ হবে। সে কারণে যেহেতু গাবুরাকে সবাই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরে নেয়, গাবুরার প্রকল্পটাই আগে দেওয়া হোক। সে অনুযায়ী তখন আবার ‘পোল্ডার ১৫ পুনর্বাসন প্রকল্প’ দাখিল করা হয়; যার বাজেট ৯৯৭ কোটি টাকা। এরপর সম্প্রতি পোল্ডার ৫-এর পুনর্বাসন প্রকল্প দাখিল করা হয়, যার বাজেট ৩ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, প্রকল্পগুলো যথাসময়ে দাখিল করা হলেও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লেগে যায়। সাতক্ষীরা পাউবোর (বিভাগ-১)  নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের গত ২ জুন জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত করেছে মে মাসে। আমরা জুনের ১৯ তারিখে প্রকল্প দাখিল করি। উপরের সিদ্ধান্তে অনেক রদ-বদল করতে হয়। দাতা সংস্থার সাহায্য পাওয়া গেলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার ছিল। কিন্তু এই সেক্টরে দাতা সংস্থাও সাহায্য কম করতে চায়। ফলে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন পাউবোর পক্ষে কঠিন। 

দাখিল করা প্রকল্পগুলো কবে নাগাদ বাস্তবায়িত হবে? এই প্রশ্নের জবাবে আবুল খায়ের বলেন, ‘আশা করছি পোল্ডার-১৫ গাবুরার প্রকল্পটি হয়তো একমাসের মধ্যে পাস হয়ে যাবে। আর পোল্ডার-৫ প্রকল্পটি হয়তো দু’তিন মাসের মধ্যে পাস হবে।’ তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, ‘যেহেতু সরকারের নজর পড়েছে এই জেলা ঝুঁকিতে আছে, সে কারণে অনুমোদন পেতে সময় লাগার কথা নয়।’ 

আম্পানবিধ্বস্ত এলাকার প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি কী জানতে চাইলে গত ২২ জুলাই পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘অনেক প্রকল্প আমার এখানে জমা আছে। ৩০-৪০টি প্রকল্প যেকোনো সময় প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে। কোনো কিছু আমরা বাদ দেই না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো; তারপর অনুমোদন হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক প্রকল্পই তো পাস হলো বিভিন্ন সময়ে। আরও হবে। দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী যেটা করা দরকার, সেটা অবশ্যই আমরা করবো।’

বেড়িবাঁধ এভাবেই নাজুক অবস্থায় পড়ে থাকে। গাবুরার নাপিতখালী গ্রামের ছবি

অনুমোদিত প্রকল্প নিয়ে ধোঁয়াশা

ঘূর্ণিঝড় আম্পান-বিপর্যয়ের মাঝেই গত ২ জুন সাতক্ষীরা অঞ্চলের জন্য ৪৭৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। প্রকল্পটি সাতক্ষীরায় পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন সংক্রান্ত। এর আওতায় ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১, ২, ৬-৮ এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন)-এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। সাতক্ষীরা শহরসহ আশপাশের এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে এ প্রকল্পটি দাখিল করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। বিভিন্ন পর্যায় ঘুরে ৬ বছর পরে এটি অনুমোদন পেল। আম্পানবিধ্বস্ত এলাকার প্রকল্প হওয়ার কারণে অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় প্রচার পায়- আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় পাউবোর কর্মকর্তাসহ নাগরিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনাকালে তাঁরা জানান, প্রকৃতপক্ষে আম্পানবিধ্বস্ত এলাকার ধারেকাছেও এ প্রকল্প নেই। আম্পানে যেসব এলাকায় ক্ষতি হয়েছে, সেসব এলাকার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হয়নি। প্রকল্পটি ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রস্তাব করা হয়েছিল।

উপকূলের মানুষের দুর্যোগ থেকে সুরক্ষায় সার্বিকভাবে সরকারের কী পরিকল্পনা আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের তো সারা দেশের জন্য পরিকল্পনার কথা ভাবতে হয়। সব এলাকার জন্যই আমরা কাজ করছি। তারপরও বিশেষ অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণীত হয়েছে। এর মধ্যে উপকূল রয়েছে। ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় উপকূল অঞ্চলে অনেক ধরনের কাজ হবে। আমরা বসে নেই। আমরা কাজ করছি।’

দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বিরাজমান সংকট, এর কারণ ও সমাধানের উপায় কী হতে পারে- এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। পড়ুন তার সাক্ষাৎকার:

‘নদীর প্রস্থ কমিয়ে নিয়মিত ড্রেজিং করবো’

ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব: বাঁধের ফাঁদে উপকূলজীবন

ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব: সর্বনাশের ষোলকলা চিংড়িতে

 

আগামীকাল পড়ুন: রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে চিংড়িমুক্তি

ঢাকা/তারা


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়