ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

একাত্তরের পবিত্র দেহের নারীরা

রাইজিংবিডি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩  
একাত্তরের পবিত্র দেহের নারীরা

ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ব্যারাক এবং হেডকোয়ার্টার অফিসের উপরতলায় বহু মেয়েকে ধর্ষণের শিকার হতে দেখেছেন বাঙালি সুইপার শাহরিয়ার। সে ছাড়া আর কোনো সুইপার ওই ব্যারাকে প্রবেশ করতে পারতো না। প্রতক্ষ্যদর্শী এই সুইপারের বয়ান উঠে এসেছে মুনতাসির মামুন সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধ কোষ দ্বিতীয় খণ্ডে।

এই ঘটনা অনুভূতিপ্রবণ যেকোনো মানুষকে নাড়িয়ে দেবে। শাহরিয়ারের বয়ান অনুযায়ী, প্রতিদিন বিরামহীন প্রহারে মেয়েদের দেহের মাংস ফেটে রক্ত বের হতো। বন্দি মেয়েদের কারও কারও মুখের সামনের দাঁত ছিল না। ঠোঁটের দুইদিকের মাংস কামড়ে, টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। লাঠি আর লোহার রডের অবিরাম পিটুনিতে ভেঙে যেত মেয়েদের আঙুল। ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত হাতের তালু।

এইসব অত্যাচারিত ও লাঞ্চিত মেয়েদের প্রস্রাব ও পায়খানা করার জন্য হাতের ও চুলের বাঁধন খুলে দেওয়া হতো না এক মুহূর্তের জন্যও। হেডকোয়ার্টারের উপর তলার বারান্দায় এই ঝুলন্ত উলঙ্গ মেয়েরা হাত বাঁধা অবস্থায় লোহার তারে ঝুলে থেকে সেখানে প্রস্রাব-পায়খানা করতো। প্রতিদিন সেখানে গিয়ে প্রস্রাব পায়খানা পরিষ্কার করতেন শাহরিয়ার।

তিনি দেখেছেন, অনেক মেয়ে অবিরাম ধর্ষণের শিকার হয়ে নির্মমভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। প্রতিদিন বারান্দায় ঝুলন্ত থাকা উলঙ্গ মেয়েদের ভেতর থেকে কেউ না কেউ মরে যেত। ধর্ষিত মেয়ের ক্ষতবিক্ষত বিকৃত লাশের পায়ে রশি বেঁধে পাক বাহিনীর সদস্যরা সরিয়ে নিত। আর সেই সব খালি জায়গায় স্থান হতো অন্য যুবতীর। এসব যুবতীকে রাখা হতো উলঙ্গ করে। তাদের পাহাড়া দিত সশস্ত্র পাঞ্জাবি সেনা।

/স্বরলিপি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়