ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দীর ৮৮তম জন্মদিন আজ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩  
ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দীর ৮৮তম জন্মদিন আজ

আজ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পালিত হচ্ছে। ১৯৩৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন ভাষাসৈনিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত, শিক্ষাবিদ ও ভারতেশ্বরী হোমসের প্রাক্তন অধ্যক্ষা বীরকন্যা প্রতিভা মুৎসুদ্দী। আজ তার ৮৮ তম জন্মদিন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ভারতেশ্বরী হোমসের ’৮৫ ও ’৮৬ (উচ্চ মাধ্যমিক) ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় ‘মিস মুৎসুদ্দী’র (হোমসের মেয়েরা এ নামেই তাকে ডাকে) ভাস্কর্য স্থাপন করবে।

একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী থাকাকালীন মাতৃভাষা অধিকার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন প্রতিভা মুৎসুদ্দী। পরে নারী শিক্ষা প্রসারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। 

সমাজ যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তখনই মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ নিয়ে কিছু মানুষ এই ধরাধামে অবতীর্ণ হন। এরা ক্ষণজন্মা। পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মানুষকে উদ্ধার করে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য নিবেদিত হন এই মহাপ্রাণ মানুষগুলো। তেমনই একজন প্রতিভা মুৎসুদ্দী। তিনি মানুষ গড়ার কারিগর এবং মানুষ গড়ার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। শিক্ষক জীবন থেকে অবসর নিলেও ৮৮ বছর বয়সেও তিনি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন। তার হাতে গড়া হাজার হাজার ছাত্রী আজ দেশ-বিদেশে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত, নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে আলো ছড়াচ্ছেন। 

প্রতিভা মুৎসুদ্দী চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মহামুনী পাহাড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা কিরণ বিকাশ মুৎসুদ্দী ওই সময়ের একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ছিলেন। মা শৈলবালা মুৎসুদ্দী ছিলেন গৃহিণী। শৈশবে প্রতিভা মুৎসুদ্দীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় গ্রামের পাঠশালাতে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগ, ভাষার দাবিতে আন্দোলনের সময়ে বেড়ে উঠেছেন তিনি। তার শিক্ষাজীবনের সময়টি ছিল সমাজের অবহেলিত ও নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সোচ্চারের বেগবান সময়।

১৯৫১ সালে তিনি চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করেন। এরপর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। এ সময় দেশব্যাপী উত্তাল ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সলে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষ সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন এবং এখান থেকে ১৯৫৬ সনে অর্থনীতিতে স্নাতকত্তর (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি গ্রামের স্কুলে। কলেজ জীবনে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন বাম রাজনীতি আর বিভিন্ন সেবা ও কল্যাণধর্মী কর্মকান্ডের সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বাধীকার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৫৫ সালে স্বাধীকার আন্দোলনের এক মিছিল থেকে প্রতিভা মুৎসুদ্দী গ্রেফতার হন। দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর মুক্ত হন। বামপন্থী এই নেত্রী ১৯৫৫-১৯৫৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) মহিলা মিলনায়তন সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৬-১৯৫৭ সালে রোকেয়া হলের (তৎকালীন উইমেন্স হল) প্রথম নির্বাচিত সহ-সভানেত্রী (ভিপি) ছিলেন। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও ১৯৫৬ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান), ১৯৫৯ সালে একই বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ১৯৬০ সালে ময়মনসিংহ মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর প্রতিভা মুৎসুদ্দী নারী শিক্ষার প্রসার ও তাদের স্বাবলম্বী করার কাজে নেমে পড়েন।

কর্মজীবনে প্রতিভা মুৎসুদ্দী শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ১৯৬০ সালে কক্সবাজার বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে জয়দেবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (বর্তমানে গাজীপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এখানে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ তাকে ক্ষুব্ধ করে। আর্তপীড়িত ও মানবতার সেবায় নিবেদিত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা নারী শিক্ষার পাদপীঠ ভারতেশ্বরী হোমস স্কুলের সঙ্গে কলেজ সংযোজন করেন। এ সময় তিনি ভারতেশ্বরী হোমস থেকে ডাক পান।

প্রথম দিকে তিনি রাজি না হলেও সহস্রাধিক ছাত্রীর আবাসিক প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি নারী শিক্ষার আবাস হিসেবে গড়ে তুলতে এখানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখানকার ছাত্রীদের মাধ্যমে তিনি দেশের সর্বত্র শিক্ষার আলো জ্বালাতে ১৯৬৩ সালে ভারতেশ্বরী হোমসে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষিকা হিসেবে যোগ দেন। প্রতিভা মুৎসুদ্দী এখানেও তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা রণদা প্রসাদ সাহার নজরে পড়েন। তারই একান্ত ইচ্ছায় ১৯৬৫ সালে তিনি ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষার পদ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩৩ বছর এই পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৮ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

তার সময়ে ভারতেশ্বরী হোমস ১৯৮৭ সালে স্কুল হিসেবে এবং ১৯৯৫ সালে কলেজ হিসেবে দেশ সেরার মর্যাদা পায়। দেশ বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। যাদের বেশিরভাগই এই মহীয়ষী নারীর সান্নিধ্যে ধন্য হয়েছেন। তার ৮৮ বছর বয়সেও দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা তার ছাত্রীদের সঙ্গে যোগযোগ রেখে চলেছেন। মানবতাবাদী ও শিক্ষার জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নারীকে বহু সংগঠন সম্মাননা দিয়েছে। ১৯৮৭ সালে ‘বেইস’ থেকে ‘আজিজুর রহমান পাটোয়ারী’ পদক, ১৯৯৫ সালে ‘অনন্যা শীর্ষ দশ-১৯৯৫’ পদক, ১৯৯৬ সালে ‘লায়ন নজরুল ইসলাম’ শিক্ষা স্বর্ণপদক, ১৯৯৯ সালে ‘চারুলতা পরিবার’ তাকে সম্মাননা প্রদান করে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ একাডেমি (চট্টগ্রাম) থেকে ‘বৌদ্ধ একাডেমি পুরস্কার’, ২০০১ সালে লায়নস ক্লাব চট্রগ্রাম থেকে বিশেষ সম্মাননা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসেবে ২০০২ সালে ২১শে পদক লাভ করেন। ২০০৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ব্রাদারহুড মিশন কর্তৃক ‘ধর্মবীর’ পদকপ্রাপ্ত হন তিনি। ২০০৫ সালে টাঙ্গাইলের ছায়ানীড় কর্তৃক ‘ছায়ানীড় স্বর্ণপদক’ ও ২০০৬ সালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ কর্তৃক ‘বিশুদ্ধানন্দ স্বর্ণ পদক’ এ ভ’ষিত হন।

২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ শিক্ষাবিদ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করে। ডেমোক্রেসি ওয়াচ আজীবন নারী শিক্ষা ও সেবা কর্মকান্ডে নিয়োজিত এ শিক্ষাবিদকে ২০১১ সালে সম্মাননা প্রদান করে। ওই বছরই বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী চট্রগ্রাম জেলা সংসদ তার শিক্ষার প্রসারে আত্মনিবেদিত প্রয়াস ও সুদীর্ঘ কর্মোদ্দীপনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সম্মাননা জানায়। ২০১৫ সালে স্বদেশ চিন্তা সংঘ ‘ড. আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার’ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ‘কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা’য় সম্মানিত করে ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দীকে। এছাড়া সমাজসেবক ও আলোকিত জীবনের আহ্বানকারী এই ভাষাসৈনিক আরো অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

অবসর জীবনেও এখনো প্রতিভা মুৎসুদ্দী দানবীর শহীদ রণদা প্রসাদ সাহা প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বাংলাদেশ) লিমিটেডের একজন পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে এ সংস্থার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভারতেশ্বরী হোমস কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজের মতো নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষা থাকাকালীন তিনি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দেশের শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেছেন।

অধ্যক্ষা প্রতিভা মুৎসুদ্দী অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে ১৯৭২ সাল থেকে দীর্ঘ দিন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মির্জাপুর কুমুদিনী কমপ্লেক্সের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কোমলে কঠোরে প্রতিভা মুৎসুদ্দী একজন অনন্য মানুষ। তার প্রাতিষ্ঠানিক কঠিনতম নির্বাহী আদেশও মানবিক কোমলতায় সিক্ত বৃহত্তর মানবতার কল্যাণে নিবেদিত। তিনি সব সময়ই প্রচার বিমুখ।

প্রতিভা মুৎসুদ্দী মনে করেন, যে চেতনা নিয়ে সেদিন ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তা আজও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। দেশ স্বাধীন হয়েছে, এটি অনেক বড় পাওয়া। তবে শোষণমুক্ত, ধর্ম নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এখনো তিনি স্বপ্ন দেখেন। আর এটা সম্ভব বলেও তিনি মনে করেন।

প্রিয় শিক্ষকের স্মৃতি ধরে রাখতে ‘প্রতিভা মুৎসুদ্দী ভাস্কর্য’ স্থাপন আজ

জীবদ্দশায় প্রতিভাবানরা স্বীকৃতি পান না। এমন একটি কথা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। এই প্রচলিত রীতি থেকে বের হয়ে জীবদ্দশায় প্রিয় শিক্ষক প্রতিভা মুৎসুদ্দীর ভাস্কর্য উন্মোচন করতে যাচ্ছে ভারতেশ্বরী হোমসের ’৮৫ ও ’৮৬ (উচ্চ মাধ্যমিক) ব্যাচের ছাত্রীরা। ৮৮ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ ভারতেশ্বরী হোমসের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দী (পিএমপি) হলে তার ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

রাইজিংবিডির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে প্রাক্তন ছাত্রী ফারজানা হোসাইন বলেন, তারিখটা মনে নেই তবে মনে পড়ে কানাডাতে বসে একদিন  হঠাৎ চোখে পড়লো শ্রদ্ধেয় মিস মুৎসুদ্দির একটি পোস্ট । তিনি লিখেছেন I am retired person born in 1935. Dont need job . Many thanks for your feeling about me . Best wishes to you all. আমি কিছু সময় চুপ করে বসে রইলাম। স্মৃতির  পর স্মৃতি ভেসে উঠছিল ... প্রথম যেদিন উনাকে দেখি ! কি অপার স্নেহ আমরা পেয়েছি উনার কাছ থেকে ...ভালেবাসার প্রকাশটা উনার খুবই অন্যরকম । তুলনা হয় না যার কিছুতেই ! আমরা তার উপমা খুঁজিও না। তখন থেকেই মনে হচ্ছিল উনার জন্য আমরা যারা তাঁর সন্তান তাঁদের কিছু করা উচিত । কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। উনার ছবির একটা পেইন্টিং করালাম আমি ব্যক্তিগতভাবে । কিন্তু মন ভরলো না। মনে হলো আমি একা নই । উনাকে ভালোবাসার এই প্রকাশে অংশগ্রহন করুক সবাই ।

সেভাবেই আমাদের দুটো ব্যাচকে প্রথমে প্রস্তাব দিলাম মিস মুৎসুদ্দীর আবক্ষ মূর্তি তৈরির জন্য। ১৯৮৬’র ব্যাচ শোনা মাত্রই রাজী হয়ে গেল । তারপর ১৯৮৫’র ব্যাচ রাজী হলো । যোগাযোগ করলাম স্বনামধন্য ভাস্কর্য শিল্পী তেজষ হালদার যশের সঙ্গে । যশ খরচের হিসাব দিলেন । মিস মুৎসুদ্দিকে জানানো হলো । মোটামুটি একটা অনুমতি পাওয়া গেল শিল্পকর্মটি কুমুদিনী কমপ্লেক্সে স্থাপনের। আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল ।

তিনি বলেন, আমাদের পাশে দাঁড়ালেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকারের মেয়ে কংকা কর্মকার, সে আমেরিকায় থাকেন। দিন রাত ও আমাকে যখন প্রয়োজন হয়েছে সময় দিয়েছে যে কোন আলোচনায়। আমি কৃতজ্ঞ কংকা কর্মকারের কাছে । সেই সঙ্গে  ১৯৮৬ ব্যাচের রুনু, শিউলী, শরীফা, কল্পনা, শানু, লীনা, রোজী, অ্যানি এবং মিলির কাছে । ওরা সহযোগিতা না করলে সময়মত কাজটা শেষ করা সম্ভব হতো না। আমাদের প্রিয় শিক্ষক মিস প্রতিভা মুৎসুদ্দীর স্মৃতি ধরে রাখার এদিনটি ভারতেশ্বরী হোমসের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে যে, তিনি আমাদের এ কাজটি জীবদ্দশায় দেখে গেলেন।
 

তারা//

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়