ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

পোস্ট মর্টেমের বাংলা যেভাবে ময়না তদন্ত হলো

ফিচার ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০০, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩  
পোস্ট মর্টেমের বাংলা যেভাবে ময়না তদন্ত হলো

সতেরশো শতক থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর পোস্ট মর্টেমের রীতি চালু হয়। পোস্ট মর্টেমের বাংলা ময়না তদন্ত। পোস্ট মর্টেমের সঙ্গে ময়না পাখির মিল আছে কী? শব্দগত মিল নেই। তাহলে কীভাবে হলো এই নাম। 

ময়না তদন্ত কী: অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহ বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর কারণ জানার যে চেষ্টা করা হয়, তাকেই পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত বলা হয়। পোস্টমর্টেম শব্দটি অটোপসি, নিক্রোপসি ইত্যাদি দ্বারাও বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এই শব্দটি ময়না তদন্ত হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে প্রতিবছর কয়েকশো ময়না তদন্ত হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে আলাদা আলাদাভাবে সেটি হওয়ায় এর মোট সংখ্যাটি কারও জানা নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় শরীরের ভেতরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। যেমন ধর্ষণের অভিযোগে সিমেন সংগ্রহ করে ডিএনএ ম্যাচ করা হতে পারে। আবার আত্মহত্যার মতো অভিযোগে ভিসেরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বোঝা যায় যে বিষপ্রয়োগের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা।

ময়না শব্দটি ফার্সি বা উর্দু থেকে এসেছে। এর অর্থ ভালো করে খোঁজা বা অনুসন্ধান করা। ফলে ময়না তদন্ত মানে হলো ভালো করে তদন্ত করে দেখা। 

আছে অন্য মত, ময়না পাখি দেখতে কালো এই পাখির ঠোঁট হলুদ। এই পাখি প্রায় তিন থেকে তেরো রকম ভাবে ডাকতে পারে। অন্ধকারে ময়না পাখি চোখে দেখা যায় না।

অন্ধকারের কালোয় নিজের কালোকে লুকিয়ে রাখে এরা। শুধুমাত্র অভিজ্ঞ মানুষ তার ডাক শুনে বুঝতে পারেন, যে, এটা ময়না পাখি। না দেখা ময়না কে যেমন অন্ধকারে শুধু কণ্ঠস্বর শুনে আবিষ্কার করা যায়, তেমনই পোস্টমর্টেমেও অন্ধকারে থাকা কারণকে সামান্য সূত্র দিয়ে আবিষ্কার করার মতোই। সামান্য সূত্র থেকে আবিষ্কার হয় বড় থেকে বড় রহস্যের মূল কারণ। পাওয়া যায় আসল অপরাধীদের। পাওয়া যায় মৃত্যুর কারণ। তাই পোস্ট মর্টেমের বাংলা হয়েছে- ময়না তদন্ত।

তথ্যসূত্র: বিবিসি এবং জি নিউজ

/স্বরলিপি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়