ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

যেভাবে এলো অলঙ্কার

সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১২, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৩:৪০, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
যেভাবে এলো অলঙ্কার

মানুষ নিজেকে সাজানোর জন্য অনেক আগেই তৈরি করেছে অলঙ্কার। অলংকার ধাতু বা অন্য কোনো উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। অলঙ্কার তৈরিতে সাধারণত মূল্যবান ধাতু ব্যবহৃত হয়।

ধাতুর তৈরি অলঙ্কার বা গয়নাগুলো প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এক লাখ বছরের পুরনো পুঁতিগুলো তৈরিতে নাসারিয়াস জাতীয় শামুকের খোলস ব্যবহার করা হয়েছে। এই গয়নাকে প্রাচীনতম গয়না বলে মনে করা হয়। অলঙ্কারের মৌলিক রূপ বা আকারগুলো সংস্কৃতিভেদে আলাদা হয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রায় সব জাতি অলঙ্কার ব্যবহার করে। কেবলমাত্র জাতি ও সংস্কৃতি ভেদে অলঙ্কারের গড়ন ও প্রকৃতি আলাদা হয়। এ ছাড়া হিরা, মণি-মুক্তা যুক্ত করে গয়না বা অলঙ্কারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইমিটেশানের জুয়েলারির প্রচলন হয়।

ব্যক্তির সম্পত্তি, যশ, প্রাচুর্য, ঐশ্বর্য, সামাজিক অবস্থান বোঝাতে মূল্যবান ধাতুর অলঙ্কার ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় লোহার তৈরি অলঙ্কার ব্যবহার করা হতো। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে প্লাটিনামের গয়না তৈরি শুরু হয়। প্রাচীনতম গয়নাটি ইউরোপে বসবাসকারী নিয়ান্ডারথালরা তৈরি করেছিল। কেনিয়াতে প্রাচীন অলঙ্কারের যে নমুনা পাওয়া গেছে সেটি উটপাখির ডিমের খোসা থেকে তৈরি। রাশিয়ায় আবিষ্কৃত প্রাচীন গয়নাটি পাথরের একটি ব্রেসলেট। 

মেসোপটমীয়, গ্রিক, মিশর, চীন ও ভারতে পাওয়া অলঙ্কাকারের নিদর্শনগুলোও অনেক প্রাচীন। গয়না ব্যবহার দিন দিন নানাভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। খ্রিস্টীয় অব্দগুলোতে ক্রস তৈরিতে বিভিন্ন ধাতু ব্যবহার করা শুরু হয়। আবার সেটি গলায় পরার জন্য ধাতুর তৈরি চেইন ব্যবহার জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। এক সময় এসব চেইন বিয়েতে উপহার দেয়ার প্রচলন শুরু হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে পুরানো স্বর্ণের তৈরি অলঙ্কারটি পাওয়া গেছে পাকিস্তানের জালিপুরে, খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ৫শ’ সালে। এখন পর্যন্ত মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পায় স্বর্ণালঙ্কারের অনেক ভাণ্ডার আবিষ্কৃত হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রাচীনতম অলংকার পাওয়া গেছে বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে এবং নরসিংদীর ওয়ারির বটেশ্বরে। এগুলো পাথরের পুঁতি। যা খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ থেকে ৩৭০ বছর আগের। এই অঞ্চলে অলঙ্কার ব্যবহারের প্রসার ঘটে মুঘল আমলে। 
 

/স্বরলিপি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়