দেশের উপকূলে সেরা সব সমুদ্র সৈকত
খায়রুল বাশার আশিক || রাইজিংবিডি.কম
সমুদ্র তটরেখার দেশ বাংলাদেশ। এ দেশ অপরূপ এক বদ্বীপ। আর এই বদ্বীপের জন্য প্রকৃতির আশীর্বাদ বঙ্গোপসাগর। সাগরের নোনা জলে অনেক কিছু পেয়েছে এদেশের মানুষ। তেল, গ্যাস, খনিজ বালি, প্রবাল, সামুদ্রিক শৈবাল, মাছসহ নানা কিছু দিয়েছে এই সমুদ্র। শুধু এসবই নয়, এ সমুদ্র উপকূলের জনপদ ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। দেশের ৭১০ কিলোমিটার উপকূলরেখায় লাগোয়া তিনটি বিভাগে রয়েছে বেশকিছু জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। সেসব সৈকত বাংলার মুক্ত প্রকৃতির সুখ্যাতি ছড়িয়েছে, টানছে দেশ-বিদেশি অগণিত পর্যটক। চলুন আজ জেনে নেই, বাংলাদেশের সেসব সেরা সমুদ্র সৈকতের কথা।
প্রথমে জানা যাক চট্টগ্রাম বিভাগের সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি দেশের সেরা পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সব সৈকতের মধ্যে একটি। পুরো সৈকতটি বালুকাময়, একটু কাদার অস্তিত্বও মিলবে না। আছে বালিয়াড়ি সংলগ্ন শামুক-ঝিনুকসহ নানা প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ বিপণি বিতান। অত্যাধুনিক হোটেল-মোটেল-কটেজ, বার্মিজ মার্কেট সমূহে পর্যটকদের বিচরণে কক্সবাজার শহরে পর্যটন মৌসুমে প্রাণচাঞ্চল্য থাকে। শীত-বর্ষা-বসন্ত-গ্রীষ্ম এমন কোনো ঋতু নেই যখন এই সৈকতের চেহারা বদলায় না। সকালে এক রকম তো দুপুরে এর রূপ অন্য রকম।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ: সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। মাত্র ৮ বর্গকিলোমিটার এর দৈর্ঘ্য। এটি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়। বাংলাদেশের সমুদ্রপ্রেমীদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম। বিখ্যাত লেখক, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি দ্বারা এই দ্বীপটির পরিচিতি আরো বেড়ে যায়।
পতেঙ্গা সৈকত: কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পতেঙ্গা। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এই সৈকতটি ভয়াবহ ক্ষতি হয়। বর্তমানে সৈকতটিতে সিমেন্ট দিয়ে তৈরি বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর থেকে এই কেন্দ্রটি পর্যটকদের জনপ্রিয়তায় রূপ পায়।
ইনানী সমুদ্র সৈকত: কক্সবাজার থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ও হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ইনানী সৈকতের অবস্থান। সৈকতের পশ্চিমে সমুদ্র, পূর্বে পাহাড়। এ এক অপূর্ব পর্যটন আকর্ষণ। মেরিন ড্রাইভ ধরে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয়। প্রবাল দিয়ে গঠিত এই সৈকতটি পর্যটক মহলে বেশ জনপ্রিয়।
পারকি সমুদ্র সৈকত: পারকি সৈকত চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহর থেকে পারকি সৈকতের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি.মি.। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতটি। এটি মূলত কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পারকি সৈকতে যাওয়ার পথে দেখা মিলবে অন্যরকম মায়াময় প্রকৃতি। আঁকাবাঁকা পথ ধরে ছোট ছোট পাহাড়ের দেখা মিলবে। এসব দৃশ্য পর্যটকদের প্রাণ জুড়ায়। পারকি সৈকতে যাওয়ার পথে কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রমোদতরির আদলে নির্মিত নতুন ঝুলন্ত ব্রিজটি চোখে পড়বে। বিচে ঢোকার পথে সরু রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ, সবুজ প্রান্তর আর মাছের ঘের দেখা যায়। কক্সবাজার সৈকতের মতোই এখানেও অসংখ্য ঝাউ গাছ রয়েছে।
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত: গুলিয়াখালী সৈকতটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। সৈকতটি সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। প্রকৃতি ও গঠনগত দিক থেকে এটি অন্যান্য। এর পশ্চিমে দিগন্ত জোড়া জলরাশি, পূর্বে তাকালেই দেখা যাবে পাহাড়। এখানে কেওড়া বন দেখা যাবে। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল দেখা যায়। এই বন সমুদ্রের অনেকটা গভীর পর্যন্ত চলে গেছে। যা দেখতে সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মতো। সৈকত জুড়ে রয়েছে সবুজ গালিচার বিস্তীর্ণ ঘাস। এই সবুজের মাঝ দিয়ে এঁকেবেঁকে গেছে সরু নালা। নালাগুলো জোয়ারের সময় পানিতে ভরে উঠে। পাখি, ঢেউ আর বাতাসের মিতালীর অনন্য অবস্থান দেখা যায় এই সৈকতে। সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামের দুটি ঝরনা রয়েছে।
নিঝুম দ্বীপ: নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার এর অবস্থান। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ সালে দ্বীপটি জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে। নিঝুম দ্বীপের পূর্বনাম ছিল চর-ওসমান, বাউল্লার চর, আবার কেউ কেউ একে ইছামতীর চরও বলত। এ চরে প্রচুর ইছা মাছ (চিংড়ির স্থানীয় নাম) পাওয়া যেত বলে একে ইছামতির চর বলা হতো।
বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত: বাঁশবাড়িয়া সৈকতটি সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া নামক স্থানে অবস্থিত। ২০০৯ সালে কাসেম রাজা নামে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা এই সমুদ্র সৈকতটি উন্নয়নের চেষ্টা করেন এবং প্রচারণা চালান। এরপর থেকে সৈকতটি পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। গণমাধ্যম ও আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ২০১০ সালের পর থেকে এখানে দর্শনার্থী আসাও শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিদিনই এখানে অনেক পর্যটক ঘুরতে আসেন।
টেকনাফ সমুদ্র সৈকত: টেকনাফ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতেরই একটি অংশ। টেকনাফ সৈকতটি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। উল্লেখযোগ্য ভাগগুলো হলো - শ্যামলাপুর সৈকত (বাহারছড়া সৈকত), শিলাখালী সৈকত, হাজামপাড়া সৈকত। এই সৈকতে জেলেদের মাছ ধরার বাহারি নৌকা দেখা যায়। এই সৈকতের নিকটে ঘন ঝাউবন এবং উত্তর দিকে তৈলঙ্গা পাহাড় অবস্থিত। এই সৈকতের পানি অধিক পরিষ্কার ও সৈকতে নির্জন পরিবেশ বিরাজমান।
বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত: বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম বিভাগের বাঁশখালী উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত নামেও পরিচিত। সৈকতটি বালুচরবেষ্টিত। ৩৭ কিলোমিটারে সৈকতটিতে আছে ঝাউ বাগান, লাল কাঁকড়ার বসবাস। এই সৈকত থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। সৈকতের পশ্চিম দিক জুড়ে পুরোটাই কুতুবদিয়া চ্যানেল, কাছেই কুতুবদিয়া দ্বীপ। শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় এখানে পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলক কম। বর্ষায় সৈকতটির প্রশস্ততা কিছুটা কমে যায়।
আকিলপুর সমুদ্র সৈকত: আকিলপুর সমুদ্র সৈকত সীতাকুণ্ডে অবস্থিত। এই সৈকতের পাশেই অবস্থিত কুমিরা ঘাট। এখান থেকেই সন্দ্বীপ খালের মধ্য দিয়ে স্থানীয়রা সন্দ্বীপে যায়। সৈকতটির পাশে থাকা সাড়ি সাড়ি গাছ এখানকার সৌন্দর্যকে বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। প্রতিদিন অনেক পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন।
কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত: কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে এই সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। যার দৈর্ঘ্য ২৩ কিলোমিটার। সৈকতটি পর্যটকদের কাছে খুব বেশি পরিচিত না বলে, সৈকতটি নির্জন ও শান্ত থাকে। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও এখানে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাতিঘর, কুতুব আউলিয়ার দরবার, কুতুবদিয়া চ্যানেল এবং বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বরিশাল বিভাগের যত সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে যেগুলো আছে সবার আগে নাম আসে কুয়াকাটার কথা। এর বাইরেও অনেক সমুদ্র সৈকত রয়েছে। সেগুলো হলো:
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। লম্বায় ১৮ কিলোমিটার এ সৈকত থেকে দেখা যাবে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য। এই সৈকতের আরেক নাম সাগরকন্যা। সৈকতের পূর্ব দিকে আছে গঙ্গামতির বন। এই বনটি আগে বৃহত্তর সুন্দরবনের অংশ ছিল। যা এখন কুয়াকাটার ঢাল হয়ে ঢেউ এর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করছে জনপদকে।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় তারুয়া সৈকতের অবস্থান। জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ১৩৫ কিলোমিটার পাকা সড়কের পর ১৫ কিলোমিটার নৌ-পথ পেরিয়ে সেখানে যেতে হবে। এই সৈকতে পর্যটকরা একই সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন বিশাল সমুদ্রের বিস্তীর্ণ জলরাশি, নানা ধরনের পাখিদের কলকাকলি, বালুকাময় মরুপথ আর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ছায়াঘন মনকাড়া নিবিড় পরিবেশ। বৈচিত্র্যময় প্রাণী দেখার পাশাপাশি সাগরের উত্তাল গর্জন দ্বীপটিতে আগত পর্যটকদের মনকে শান্ত করে। তাইতো তারুয়া দ্বীপটি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
লালদিয়া সমুদ্র সৈকত: লালদিয়া সমুদ্র সৈকতটি বরগুনার পাথরঘাটায় অবস্থিত। বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মোহনায় লালদিয়া বনের পাশে এই স্বর্গরাজ্যের অবস্থান। এখানে একপাশে সমুদ্র, অন্য পাশে বন, মাঝে সৈকত, এমন সৌন্দর্য প্রকৃতিতে বিরল। লালদিয়া সৈকতে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাউবন। হরিণঘাটা বনে নির্মিত ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ফুটট্রেল (পায়ে হাঁটার কাঠের ব্রিজ) সম্প্রসারিত করে লালদিয়া সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত: সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রান্তিক জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়ায় অবস্থিত এই সৈকত। সাগর তীরের বালুকণা পর্যটকদের দু-পায়ের অলংকার হয়ে সঙ্গে থাকে। সীমাহীন সাগর তীরের মুক্ত বাতাস আর চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক শোভা যেন সৈকতটির দৃষ্টি আকর্ষণের টোপ। বরগুনা জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের মিলিত জলমোহনায় সৈকতটি দাঁড়িয়ে আছে যৌবনা রূপ নিয়ে। বেলাভূমিটি প্রায় চার কিলোমিটার লম্বা এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। একদিকে সমুদ্রের জলরাশি অন্যদিকে ঝাউবন এখানে আসা স্বল্প সংখ্যক পর্যটকদেরও দিচ্ছে বাঁধ ভাঙা আনন্দ।
খুলনা বিভাগের সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে রয়েছে:
মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় অবস্থিত মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। হাড়িভাঙ্গা নদীর তীরে মান্দারবাড়িয়া বনের উপকণ্ঠে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুন্দর সৈকতটি অবস্থিত। এই সৈকতের উল্টোদিকেই সুন্দরবন।
কটকা সমুদ্র সৈকত: খুলনা জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটন স্থল কটকা সমুদ্র সৈকত। সৈকতটি সুন্দরবনের একটি অংশ। মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে ও সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্ব কোণে এই সমুদ্র সৈকতটি অবস্থিত। কটকা সমুদ্র সৈকত থেকে সুন্দরবনের সৌন্দর্য ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে নিরাপদ দূরত্ব থেকে দেখার সুযোগ এই সৈকতে রয়েছে। এছাড়াও চিত্রা হরিণের দল, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বাঁদর, বন্য শূকর এবং বিভিন্ন প্রকারের বন্যপ্রাণীর সঙ্গে শীতকালে কুমিরও দেখতে পাওয়া যায়। সূর্যাস্ত দেখার জন্য এই সমুদ্র সৈকত উপযুক্ত জায়গা। কটকা সৈকতে ৪০ ফিট উচ্চতার চারতলা বিশিষ্ট একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার আছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে হরিণের পালদের ঘোরাঘুরি, শুকরের দৌড়াদৌড়ি, বানরদের খেলাধুলা, বাঘের চলাফেরা ও অন্যান্য বন্য প্রাণীদের দেখা যায়।
ছবি: লেখক
/লিপি