ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

পোড়া দলিলপত্র যা করেছিলো ব্রাজিলের বাসিন্দারা

সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৮, ১ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১২:৩২, ১ মার্চ ২০২৪
পোড়া দলিলপত্র যা করেছিলো ব্রাজিলের বাসিন্দারা

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল ব্রাজিলের জাতীয় জাদুঘর। ২০০বছরের এই জাদুঘরে ছিল দেশটির প্রায় দুই কোটি দর্শনীয় উপকরণ। সেগুলোর মধ্যে ছিল দলিলপত্র, মমি, উল্কাপিণ্ড, পোকামাকড়ের জীবাশ্মসহ অনেক দূর্লভ উপকরণ।

পর্তুগিজ উপনিবেশিক আমলের ওই ভবনে এক সময় পর্তুগিজ রাজপরিবারের সদস্যরা বসবাস করতেন। উপনিবেশিক আমলে ভবনটিতে জাদুঘর স্থাপন করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর সেদেশের প্রেসিডেন্ট টুইট করেছিলেন, ইতিহাসের এই মূল্য কখনো পরিমাপ করা যাবে না।

এই অগ্নিকাণ্ডকে সাংস্কৃতিক বিপর্যয় হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ভবনটির ভেতরের ফ্লোর ছিল কাঠের। আর গচ্ছিত ঐতিহাসিক দলিলপত্র ছিল মূলত কাগজের। অগ্নিকাণ্ডে কিছু জিনিস একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, আর কিছু কাগজ আগুন আর বাতাসে উড়ে চলে যায় বহুদূর। সেসব আর কখনো উদ্ধার করা যাবে না, এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম ও অবিশ্বাস্য।

ডগলাস আলভারেঞ্জা নামের ব্রাজিলের এক বাসিন্দা। তিনি বসবাস করেন ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। এক সকালে নিজের বাড়ির উঠোনে দেখতে পেলেন কিছু পোড়া কাগজ। পোড়া কাগজগুলো পেয়ে একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তার কারণ হচ্ছে কাগজগুলো কোথা থেকে এসেছে, তা বুঝতে পারছিলেন না। 

ডগলাস আলভারেঞ্জা পোড়া কাগজগুলো হাতে তুলে দেখলেন যে গুড়া গুড়া হয়ে যায়। কাগজের টুকরা এবং গুড়াগুলো তিনি  নিজের কাছে সংরক্ষণ করেন। কিছুদিন পরে ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কয়েকটি অস্থায়ী কেন্দ্র তৈরি করে। ডগলাস আলভারেঞ্জা তার কাছে থাকা কাগজ জমা দেন একটি অস্থায়ী কেন্দ্রে।  অন্যান্য বাসিন্দারাও ঠিক একই কাজ করেন। যে যা উদ্ধার করতে পেরেছিলেন, তিনি তাই জমা দেন। এরপরে জাদুঘরের কর্মকর্তারা সেইসব দলিলপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জমা নেন।

এভাবেই জাদুঘর পুনর্গঠনের অংশ হয়ে যায় ব্রাজিলের বাসিন্দারা।

/লিপি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়