ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

‘সমাজে ভিকটিম ব্লেইমের সমস্যা প্রকট’

স্বরলিপি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৬, ৮ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৪:৫২, ৮ মার্চ ২০২৪
‘সমাজে ভিকটিম ব্লেইমের সমস্যা প্রকট’

ব্যারিস্টার মিতি সানজানা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কাজ করছেন  মানবাধিকার নিয়ে। বিভিন্ন আইনের বিষয়ে নারীকে সচেতন করতে গড়ে তুলেছেন অগ্নি বাংলাদেশ ট্রাস্ট। তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকেই ‘ফ্যামিলি ম্যাটার’ নিয়ে কাজ করেন। মুসলিম পারিবারিক আইন- তালাক, সন্তানের কাস্টডি, অভিভাবকত্ব নির্ণয়সহ এ বিষয়ক আইনী পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও সামাজিক অবক্ষয় এবং নারীর প্রতি সংহিসতা রোধে কাজ করার প্রত্যয় রয়েছে তার। এ লক্ষ্যে নারী পাচার রোধে করণীয় ঠিক করতে, নারীর সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন এই আইনজীবী। 

মিতি সানজানা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নারী পাচারে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করছে। দেখা যাচ্ছে পাচার হওয়া কোনো নারীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পুনর্বাসন করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নারী পাচার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরো বলেন, ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে যেসব নারী রয়েছেন তাদের মধ্যে ১ শতাংশ নারী বাংলাদেশী। শুধু কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লীতে বাংলাদেশী নারী রয়েছেন ২.৭ শতাংশ। বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পথে নারী পাচার হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই একটি চক্র নারীদের টার্গেট করছেন। এরপর প্রেম করে, লোভ দেখিয়ে অথবা বিয়ে করে তাদের নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা না থাকাও এর জন্য দায়ী।

আরো পড়ুন:

বিয়ের পরেও নারী পাচার হচ্ছে। সেটা কোন কৌশলে সম্ভব- এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, পাচার করার উদ্দেশ্যে তথ্য পরিচয় গোপন রেখে বা ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বিয়ে করে এই চক্র। এই ফাঁদে পড়তে না চাইলে পরিবারের সদস্যদের সচেতন হতে হবে। এজন্য বিয়ের কাবিননামায় দুই পক্ষেরই সঠিক তথ্য উপস্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।

ভিকটিম ব্লেইমের মানসিকতা থেকে পুরো সমাজকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন এই মানবাধিকার কর্মী। 

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে ভিকটিম ব্লেইমের সমস্যা প্রকট। এ সমস্যা সমাধানে একা কোনো মন্ত্রণালয়, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিছু করতে পারবে না। সবাইকে কাজ করতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর জন্য পরিবার ও সমাজের প্রতিটি স্তরের, প্রতিটি মানুষের সচেতনতা দরকার। একজন মানবাধিকার কর্মীর এখানে বড় আকারে ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে।

এই লক্ষ্যে মিতি সানজানার অগ্নি বাংলাদেশ ট্রাস্ট কাজ করছে। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক আইন এবং কোন সমস্যায় কোন হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে জানানো হচ্ছে।

আমি চাই তথ্যের অভাবে যেন কেউ ভিকটিম হয়ে না যান। বলেন মিতি সানজানা।   

তারা//

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়