সতেরো বছর পর মেয়েকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ পেলেন মা
সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ভিক্টোরিয়া ও ফাতিমা। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ সতেরো বছর পর মেয়েকে সামনে থেকে দেখার আর জড়িয়ে ধরার সুযোগকে অপার্থিব বলে ব্যাখ্যা দিলেন এক মা। ওই মায়ের নাম ভিক্টোরিয়া। তিনি আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী। সৌদি আরবের এক নাগরিককে বিয়ে করে কন্যা সন্তানের মা হয়েছিলেন। মেয়ের নাম ফাতিমা। পরিবারসহ বসবাস করতেন আয়ারল্যান্ডেই। ফাতিমার বয়স যখন ২ বছর, একদিন ভিক্টোরিয়ার স্বামী বললেন— কয়েকদিনের জন্য মেয়েকে নিয়ে যাবেন সৌদি আরবে তারপর ফিরে আসবেন।
ভিক্টোরিয়া মেয়েকে নিযে যেতে দেন। কিন্তু সৌদি আরবে পৌঁছানোর পরে ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তার স্বামী। মেয়ের জন্য অস্থির হয়ে পড়েন ভিক্টোরিয়া। সৌদি আরবে গিয়ে খুঁজতে শুরু করেন স্বামী আর সন্তানের ঠিকানা। বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন, মেয়েকে না দেখার কষ্ট নিয়ে দেশে ফিরেছেন ভিক্টোরিয়া কিন্তু থেমে যাননি।
দিন যায়। মেয়েও বড় হতে থাকে। একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে যোগায়োগ হয় ফাতিমার। এরপর ফাতিমার জন্য টাকাও পাঠানো শুরু করেন ভিক্টোরিয়া। ফাতিমার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে সে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য আইনী সহায়তা চায়।
এরপর ভিক্টোরিয়া সৌদি আরবে আসেন। একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন ভিক্টোরিয়া। সেখানে ফাতিমাও আসেন। এরপর একটি দরজার ব্যবধান একপাশে মা অন্যপাশে মেয়ে।
ভিক্টোরিয়া দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে দরজাটি একটি চেইনে আটকা পড়ে। ওই মুহূর্তগুলো আরও অস্থিরতায় পরিপূর্ণ ছিল। এরপর চেইন সরিয়ে দিতে মায়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেয়ে। মা বুকে জড়িয়ে ধরেন তার নাড়ি ছেঁড়া ধন, বুকের মানিক। এই মুহূর্তকে ওই মা স্বর্গীয় মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
তথ্যসূত্র: দ্য মিরর
/লিপি