মেঘনা নদী সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: সংগৃহীত
মেঘনা নদীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নৌ-বাণিজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত সুদূর অতীত থেকে। ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে আরব বণিকেরা এই নদী পথ ব্যবহার করেছে বাণিজ্যের জন্য। এই পথে পালাক্রমে এসেছে পর্তুগীজ, ফরাসী, ওলন্দাজ এবং ইংরেজ বণিকেরা। মেঘনা এখনও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ।
মেঘনা নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের পাহাড়ে। ভারতে বইছে বরাক নামে। বাংলাদেশে এসে ভাগ হয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারায়। আজমিরীগঞ্জের উত্তরে এই নদী শাখা-প্রশাখাসহ আবার মিলিত হয়ে জন্ম হয়েছে মেঘনার। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৩০ কিলোমিটার। এর গড় প্রস্থ ৩৪০০ মিটার। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর এবং লক্ষ্মীপুর জেলা দিয়ে এই নদী এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হচ্ছে।
মেঘনা হচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নদী। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ত নদী মেঘনা। ঢাকা থেকে মাত্র ২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে পূর্ব বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁওয় ছুঁয়ে যায় এই মেঘনা। উজান থেকে প্রতিবছর মেঘনা বয়ে আনে এগারো শো মিলিয়ন পলি।
সেই পলি জমে জমে জন্ম নেয় অগন্তি চর। শুকনো মৌসুমে চরের বিস্তৃর্ণ এলাকা হয়ে ওঠে অবারিত চারণভূমি। গরুরপাল দেখাশোনার জন্য এসব চারণভূমিতে অস্থায়ী ঘর বেঁধে থাকেন বাথানি নামের রাখালরা। মেয়াদ ফুরোলে বাথানের গরু ফিরে যায় গৃহস্থের গোয়ালে।
মেঘনা নদীতে মাছ ধরার জন্য অসংখ্য ঘের বা ছোপ তৈর করা হয়। মাছেদের মধ্যে যেগুলোর কাঁদায় থাকার অভ্যাস সেগুলো ছোপে বাসা বাঁধে।
মেঘনা চাঁদপুরে পদ্মার সাথে মিলিত হয়ে আনুমানিক ৯০ মাইল দক্ষিণে চারটি মোহনা পথে বঙ্গোপসাগর এ মিলেছে। এই মোহনাগুলোর স্থানীয় নাম তেঁতুলিয়া, শাহবাজপুর, সন্দ্বীপ ও হাতিয়া । মনু, খোয়াই মেঘনার প্রধান শাখা নদী এবং গোমতী, তিতাস, ডাকাতিয়া মেঘনার উপনদী।
লিপি