ঢাকা     সোমবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৬ ১৪৩১

সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:৩০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বৈচিত্রময় জীবনের অধিকারী কবি ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

তাঁকে বাংলা সাহিত্যের বহুমাত্রিক লেখক হিসেবেও অভিহিত করা হয়। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, চলচ্চিত্র, গান, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সব শাখায়ই সাবলীল পদচারণা ছিল তাঁর। ১৯৫৪ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘তাস’, ১৯৫৯ সালে প্রথম উপন্যাস ‘এক মহিলার ছবি’, ১৯৬১ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একদা এক রাজ্যে’ প্রকাশিত হয়।  

তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘নূরল দীনের সারাজীবন’, ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘গণনায়ক’, ‘ঈর্ষা’। উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘নীল দংশন’। কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘পরানের গহিন ভিতর’, নাভিমূলে ভস্মধার’, ‘আমার শহর ঢাকা’, ‘বৃষ্টি ও জলের কবিতা’ প্রভৃতি।

১৯৫৯ সালে ‘মাটির পাহাড়’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেন সৈয়দ শামসুল হক। তারপর ‘তোমার আমার’, ‘শীত বিকেল’, ‘সুতরাং’, ‘রাজা এল শহরে’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘কাঁচ কাটা হীরে’, ‘পুরস্কার’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বড় ভাল লোক ছিল’সহ আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেন তিনি। ‘বড় ভাল লোক ছিল’ ও ‘পুরস্কার’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

গান লিখেও খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘তোরা দেখ দেখ দেখ রে চাহিয়া’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা’। 

সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বরে কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। এই দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। বাবা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ছিলেন। তার স্ত্রী ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। 

কুড়িগ্রামে স্কুলজীবন শেষ করেন সৈয়দ হক। এরপর মুম্বাইতে কিছুদিন চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করেন। পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে পড়ালেখা শেষ না করেই পুরোদমে লেখালেখি শুরু করেন। কর্মজীবনের প্রায় সাত বছর কাটিয়েছেন লন্ডনে বিবিসি বাংলা বিভাগের সঙ্গে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে বিবিসি থেকে সংবাদ পরিবেশন করেছেন।

তার লেখকজীবন প্রায় বাষট্টি বছরের। লেখালেখির জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অসাধারণ সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রাপ্তিও অনেক। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

/টিপু/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়