পিঁপড়ার ডিম বিক্রি তাদের পেশা
লাল পিঁপড়ার ডিম প্রতি কেজি ৮০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হয়। ছবি: লেখক
পাহাড়ি অঞ্চলের কিছু মানুষ পিঁপড়ার ডিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী সীমান্তবর্তী এলাকার রাংটিয়া, গজনী, বাকাকূড়াসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহের চিত্র দেখা যায়। স্থানীয় হাটে কেজি দরে বিক্রি হয় পিঁপড়ার ডিম।
পিঁপড়ার ডিমের চাহিদা রয়েছে মাছ শিকারীদের কাছে। যারা বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন এবং যারা মাছ ধরার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যান তারা পিঁপড়ার ডিমের প্রধান ক্রেতা। এই অঞ্চলেরর পিঁপড়ার ডিম সংগ্রাহকারীরা সকাল থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন ঝোপঝাড় থেকে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করেন। দুই থেকে চারজনের এক একটি দল প্রত্যন্ত এলাকার বড় গাছ, ঝোপঝাড়, বাঁশের মাথা থেকে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করেন। এবং জাল দিয়ে বানানো এক ধরনের ঠোঙা ব্যবহার করেন তারা। পাহাড়ি অঞ্চলের শাল-গজারির বনেও মেলে পিঁপড়ার ডিম। বড় গাছের পাতা ও ঝোপঝাড় থেকে সাধারণত লাল পিঁপড়ার ডিম বেশি পাওয়া যায়।
রাংটিয়া বাজারে ও খরমপুর মোড়ে বিক্রি হয় তাদের সংগৃহীত ডিম। লাল পিঁপড়ার ডিম প্রতি কেজি ৮০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হয়। স্থানীয়রা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে ডিম কিনতে আসেন অনেক ব্যবসায়ী ও মাছ শিকারীরা। লাল পিঁপড়ার ডিম বর্ষা ও শীতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
ডিম সংগ্রহকারী রমজান আলী বলেন, ‘পাহাড়ি অঞ্চল ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আমরা এসব ডিম সংগ্রহ করি। তবে এখন আর আগের মতো ডিম পাওয়া যায় না। অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। ’
ডিম বিক্রেতা আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের এখানে ৩-৪ কেজির মতো ডিম বিক্রি হয়। জামালপুর, ময়মনসিংহ থেকেও লোক আসে ডিম কিনতে। দিন দিন পিঁপড়ার ডিমের চাহিদা বাড়ছে কিন্তু যোগান কমে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, পিঁপড়ার ডিম পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে অনেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন এই পেশা।
ঢাকা/লিপি