কেমন দেশ জর্জিয়া
সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
জর্জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
৬৯ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ জর্জিয়া। আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১১৯ তম দেশ। জর্জিয়ার বেশিরভাগ মানুষ জর্জিয়ান ভাষায় কথা বলে। এর পাশাপাশি দেশটিতে আবখাজিয়ান ভাষাও প্রচলিত। দেশটির প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টান এবং ১১ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী।জর্জিয়াতে প্রথম শ্রেনি থেকে নবম শ্রেনি পর্যন্ত মৌলিক এবং কারিগড়ি পড়ালেখা করা বাধ্যতামূলক। দশম শ্রেনি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়া ঐচ্ছিক। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ উচ্চ শিক্ষিত। জর্জিয়ার রাজধানী তিবিলিসি। তিবিলিসি অনেক পুরনো শহর। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয়-দ্বিতীয় সহস্রাব্দ থেকে পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত এটি জর্জিয়ার রাজধানী ছিল।
দেশটিতে দুইটি ইউরোপীয় শহর রয়েছে। মেটসেকাটা এবং কুটাইসি। এর মধ্যে মেটসেকাটা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত।
এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত হলেও দেশটির মানুষ নিজেদেরকে ইউরোপীয় বলতে পছন্দ করে। সাবেক সোভিয়ত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল জর্জিয়া। দেশটি প্রাকৃতিক ভাবে অনেক সুন্দর। অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল। দেশটিতে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের বসতি গড়ে উঠেছিল। দেশটি ১৯২২ সালে সোভিয়েন ইউনিয়নের আওতায় আসে। ১৯৯১ সালে জর্জিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এরপরে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সাবেক সোভিয়েন ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয় জর্জিয়ার। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসে এবং স্থিতিশীলতা তৈরি হয়। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে প্রথম সোভিয়েত উত্তর সংবিধান পাস হয়। বর্তমানে দেশটি কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। ২০১৪ সাল থেকে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের অংশ।
জর্জিয়াতে মোট ৪৯ ধরনের মাটি আছে। এই দেশকে মদ তৈরির জন্মস্থান বলা হয়ে থাকে। ইউনেস্কো এই দেশের ওয়াইন তৈরির পদ্ধতিকে বিশ্ব সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে জর্জিয়ানরা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলো।
ঢাকা/লিপি